বিনোদনঃ
ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।
১৫ জুন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশস্থ জাপান দূতাবাসের অ্যানেক্স ভবনে এই চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা,সালমান এফ. রহমান এমপি. এবং বাংলাদেশে জাপানের অ্যাম্বাসেডর, ইওয়ামা কিমিনোরি।
চিত্র প্রদর্শনীটিতে চিত্রশিল্পী মাহমুদুল হক, মনিরুল ইসলাম, তায়েবা বেগম লিপি, আনিসুজ্জামান আনিস, রোকেয়া সুলতানাসহ দেশের অন্যান্য খ্যাতিমান শিল্পীদের বিভিন্ন শিল্পকর্মের সমন্বয়ে আয়োজন করা হয়।
আর এই প্রদর্শনীটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে ১৬ থেকে ২১ জুন ২০২৩ পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা – সালমান এফ. রহমান, এমপি. বলেন, “জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু এবং শিল্প ও সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করে যাচ্ছে ।
এই চিত্র প্রদর্শনী দুই দেশের মাঝের সাংস্কৃতিক ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ভাবে ব্যাখ্যা করে। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করার অপেক্ষায় থেকে আমি জেটিআই বাংলাদেশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”
জাপানের অ্যাম্বাসেডর ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরকালে কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সহযোগিতার সম্প্রসারণ এবং জনগণের বিনিময়ের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন। আমি মনে করি, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যকার সাংস্কৃতিক বিনিময় দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।”
জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর পল হলওয়ে বলেন, “আমরা ২০১৮ সালে যুগান্তকারী বিনিয়োগের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করি এবং প্রথম থেকেই জাপানের সাথে সংপৃক্ত শিল্পকর্ম উদযাপন করে আসছি।
জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন করতে গত বছরও আমরা একটি চিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করেছিলাম এছাড়াও বাংলাদেশীদের জাপানিজ ভাষা শেখায় সহযোগিতা করে আসছি।
তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আশা করি বাংলাদেশে জাপানি সংস্কৃতি উদযাপনে আমাদের প্রচেষ্টা
অব্যাহত রাখব।”
গোদাই হল জাপানিজ একটি দর্শন যা মহাবিশ্বের গঠনমূলক উপাদানগুলোকে নির্দেশ করে: চি (পৃথিবী), সুই (পানি), কা (আগুন), ফু (বাতাস) এবং কু (শূন্য)। শারীরিক, আধ্যাত্মিক এবং ব্যক্তিগত প্রবণতাকে প্রতিনিধিত্ব করতে এগুলো জাপানি সংস্কৃতির সাথে উতপ্রোতভাবে জড়িত।
জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেড এই দর্শনকে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এই শিল্পকে সংরক্ষণ করেছে, যা তাদের নীতিমালা এবং কার্যক্রমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রদর্শনীতে প্রিন্টমেকিং ও আর্ট মেস্ট্রো মাহমুদুল হক কেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
চিত্র-প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকালে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ি, শিল্পী, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রদর্শনীটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং প্রবেশ করতে দর্শকদের অবশ্যই ফটো আইডি দেখাতে
হবে: ১৬-১৭ জুনঃ ৩.০০ – ৮.০০ ঘটিকা, ১৮ জুনঃ ১০.০০ – ৮.০০ ঘটিকা, ১৯-২১ জুনঃ ১০.০০ – ৮.০০ ঘটিকা
-শিশির