চাকরি শুরুর বয়স বাড়বে কি না জানালেন প্রতিমন্ত্রী

চাকরি শুরুর বয়স বাড়বে কি না জানালেন প্রতিমন্ত্রী
চাকরি শুরুর বয়স বাড়বে কি না জানালেন প্রতিমন্ত্রী

প্রশাসনঃ
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়স বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

চাকরিতে বর্তমান বয়সসীমা ৩০ বছরকেই যৌক্তিক মনে করছে সরকার।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাতের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

পরে সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায় প্রস্তাবটি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ‘৩৫ বছরে উন্নীত করা হোক’ লিখে প্রস্তাবটি আনেন বগুড়া-৭ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাংসদ রেজাউল করিম বাবলু।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এর ব্যাখ্যায় বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে নিয়োগ পরীক্ষা বেশি প্রতিযোগিতামূলক হবে ও ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে দেখা দিবে হতাশা।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ হতে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা কমেছে স্বাভাবিকভাবেই।

এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে; যার ফলে অধিকতর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে নিয়োগের ক্ষেত্রে।

এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

তিনি বলেন, অতীতের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট না থাকায় শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি, এবং ২৩-২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে।

চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও প্রার্থীরা কমপক্ষে ৬-৭ বছর সময় পেয়ে থাকে চাকরিতে আবেদনের জন্য।

এ ছাড়া একজন প্রার্থী ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে চাকরির জন্য আবেদন করলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ১-২ বছর সময় লেগে যায়। তা কিন্তু অতিরিক্ত বয়স হিসেবে গণনা করা হয় না।

-টিপু

FacebookTwitter