রাজশাহী ব্যুরোঃ
সকল বাধা উপেক্ষা করে রাজশাহীতে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমবেত হয়েছেন। তিল ধারণের ঠাঁই নেই আলিয়া মাদরাসা মাঠে। এরই মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে সমাবেশ স্থলে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ অন্যরা। তবে অসুস্থ্যতার কারণে সমাবেশে হাজির হতে পারেননি ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
মাদ্রাসায় জেডিসি পরীক্ষা চলায় আগে থেকে সমাবেশস্থলে যেতে পারেননি সমাবেশে আসা লোকজন। তাই সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হন তারা। পরীক্ষা শেষ হলে মিছিল নিয়ে যোগ দেয় জনসভায়। তবে বিভিন্ন জেলা থেকে রাজশাহী অভিমুখে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় সমাবেশে যোগ দিতে বিকল্প পথে বেছে নেন অনেকে।
নৌকা, ট্রেন বা ছোট ছোট যানবাহন ব্যবহার করে আসেন অনেকে। সকাল থেকেই পদ্মার পাড়, চিড়িয়াখানা, ঈদগাহ মাঠ, রেল স্টেশন, রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়সহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট খন্ড খন্ড আকারে নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেখা যায়। রাজশাহী ও আশপাশের জেলায় পরিবহন বন্ধ থাকায় নেতাকর্মীদের আসতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। তবে সব প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে ট্রেন, মাইক্রো এবং নৌকা যোগে চলে আসেন রাজশাহীতে। অনেকে দুই তিনদিন আগেই সমাবেশে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে শহরে এসে অবস্থান করেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসাবে রোডমার্চ করার কথা ছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। পরবর্তীতে রোডমার্চ স্থগিত করে জনসভা করবে বলে জানায়।
সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ইভিএম বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তার বন্ধ করা, নির্বাচনে ম্যাজিট্রেসি পাওয়ার দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ৭ দফা দাবিতে ঐক্যফ্রন্টের এ সমাবেশ।
নতুন এ রাজনৈতিক জোট আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিভাগীয় শহরগুলোতে জনসভা করছে। সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকার পর চতুর্থ জনসভাটি হচ্ছে আজ রাজশাহীতে।
-এসএ