স্বাস্থ্যঃ
মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফি পরিশোধের ঝামেলা দূর করছে ‘নগদ’।
এখন থেকে চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষেরা ঢাকা মেডিকেলের সব ধরনের ফি সহজেই পরিশোধ করতে পারবেন ‘নগদ’-এ।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর মধ্যে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সময় ‘নগদ’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাহেল আহমেদ, গভর্নমেন্ট সেলস্-এর প্রধান এ বি এম মান্নাফ পরাগ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, সহকারী পরিচালক (ফাইন্যান্স ও স্টোর) ডা. মো. আশরাফুল আলম, সহকারী পরিচালক (অ্যাডমিন) ডা. হালিমা সুলতানা হকসহ দুই প্রতিষ্ঠানের আরও অনেক ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির মধ্য দিয়ে ঢামেকে রোগী দেখানোর টিকিট সংগ্রহ থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবাসহ সব ধরনের ফি পরিশোধ করা যাবে ‘নগদ’-এ।
ফলে চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশীদের টাকা পরিশোধের জন্য আর আগের মতো ব্যাংকে কিংবা ক্যাশ কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। ‘নগদ’-এর এই সেবার ফলে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসার জন্য আসা হাজারো মানুষের ভোগান্তি দূর হবে।
এ ছাড়াও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও প্রদান করা হবে।
ফলশ্রুতিতে ঢাকা মেডিকেলের প্রশাসনিক কাজ হবে অনেকটাই সহজ ও ঝামেলাহীন। তাছাড়া কর্মকর্তারা তাদের বেতনের টাকা তুলতে আর ব্যাংকিং আওয়ার গুণতে হবে না।
মন চাইলে যেকোনো সময় ও যেকোনো জায়গা থেকে তাদের ‘নগদ’ ওয়ালেট থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
হাসপাতালে আগত রোগীদের চিকিৎসা ফি পরিশোধের কাজটি আরও সহজতর করতে ঢাকা মেডিকেলে বেশ কয়েকটি কাউন্টারে মার্চেন্ট পেমেন্টের ব্যবস্থা করেছে ‘নগদ’।
সুতরাং এই প্রক্রিয়ার একদিকে মানুষের সময় যেমন বাঁচবে, তেমনি মুক্তি মিলবে অযাচিত ভোগান্তি থেকেও।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সঙ্গে ‘নগদ’-এর এই চুক্তি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাহেল আহমেদ বলেন, “নগদ সবসময় মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ ও লেনদেনকে সাশ্রয়ী করতে কাজ করে যাচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেলের মতো দেশের প্রাচীন ও স্বনামধন্য এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সঙ্গে ‘নগদ’-এর এই সম্পৃক্ততা তারই প্রমাণ।
‘নগদ’-এর আধুনিক সেবা এখন সহজেই উপভোগ করতে পারবেন মেডিকেলে আসা হাজারো মানুষ, যা হাসপাতালে তাদের দুর্ভোগ কমাতে সাহায্য করবে।”
-শিশির