বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা: খাদ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা খাদ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা খাদ্যমন্ত্রী

আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরী, পত্নীতলা থেকেঃ
১৯৭১ সালে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল পাক হানাদার বাহিনীর দোসর আলবদর, আল-শামস বাহিনী বলে নওগাঁয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মঙ্গলবার সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘১৯৭১ সালে ১৪ ডিসেম্বর ইতিসাসের এই জঘন্ন হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে তারা ভেবেছিল বাংলাদেশ আর কোনদিন জাতি হিাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।

আবার পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়ে এই বাংলাদেশকে চলতে হবে। কিন্তু তারা জানেনা বাঙালি বিজয়ের জাতি। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে একেকটি সৈনিকে পরিনত হয়েছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, জেলা সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল ও বিভাস মজুমদার গোপাল সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রমুখ। এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা এবং কালো পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অপরদিকে জেলার পত্নীতলা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শহীদুজ্জামান সরকার।

এসময় প্রধান অতিথি বলেন বিজয়ের ঠিক আগ মূহুর্তে এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী তাদের আসন্ন পরাজয় জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে দেশের সেইসব সূর্যসন্তানদের (বুদ্ধিজীবীদের) হত্যা করে। যেন জাতি হিসাবে বাঙালি বিশ্বে মাথা তুলে দাড়াতে না পারে। কিন্তু তারা ভূলে গিয়েছিল বাঙালি জাতি বীরের জাতি, তাদের রয়েছে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁরি দেখানো পথে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

এ সময় তিনি বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ অনুসরণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জানান তরুনদের।

একাডেমিক সুপার ভাইজার মোরশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন পত্নীতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল গাফ্ফার।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ রাহাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কোবরা মুক্তা, পত্নীতলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ সামসুল আলম শাহ্, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র সরকার, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোকলেসুর রহমান, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার সুলতান আহম্মেদ, পত্নীতলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরী সহ মুক্তিযোদ্ধাগণ, সকল কর্মকর্তা ও সুধীজন প্রমুখ।

-শিশির

FacebookTwitter