আন্তর্জাতিকঃ
রোববার বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠসহ নিয়ে বিপুল অর্থ ও হেলিকপ্টার নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী দেশ তাজিকিস্তানের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।
কিন্ত দেশটি তাকে আশ্রয়ের অনুমতি না দেওয়ায় বিমান ঘুরিয়ে ওমানে যান সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, আশরাফ গনি এখন কোথায়। খবর ডেইলি মেইল ও ইন্ডিয়া টুডের।
খবরে বলা হয়, চার গাড়ি অর্থ ও হেলিকপ্টার নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় কাবুল থেকে পালিয়েছিলেন আশরাফ গনি। পরে কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলে নেয় তালেবান।
এদিকে, তাজিকিস্তানে আশ্রয় না পেয়ে ওমান বিমানবন্দরে নামেন আশরাফ গনি। তাকে ওমান আশ্রয় দিয়েছে কিনা, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে সোমবার পর্যন্ত ওমানেই ছিলেন তিনি।
এখন ওমানে আশ্রয় না পেলে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে পারেন আফগানিস্তানের পরাজিত এই প্রেসিডেন্ট। ২০১৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও ছিল গনির।
২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে সেই নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন তিনি। তবে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান এখনও দেশটির নাগরিক। তাই শেষ পর্যন্ত গনি দেশটিতে আশ্রয় নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওমানে আশরাফ গনির সঙ্গে আফগানিস্তানের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামিদুল্লাহ মুহিবও ছিলেন। তালেবানের সামনে কখনও মাথানত করবেন না বলে বার্তা দিলেও সদ্য সাবেক উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ এখন তাজিকিস্তানেই রয়েছেন।
এদিকে, আফগান জাতিকে তালেবানের মুখে ফেলে এভাবে পালিয়ে যাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির নাগরিকরা।
এমনকি তাকে ‘কাপুরুষ’ বলে অভিহিত করছেন তারা। পরে তিনি তার পদক্ষেপের পক্ষে সাফাই গেয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘রক্তপাত এড়াতেই’ এভাবে কাবুল ছেড়েছেন। তালেবান যোদ্ধাদের মুখোমুখি হওয়ার পরিস্থিতির বিষয়ে আশরাফ গনি বলেন, ‘এতে অগণিত দেশবাসী মারা যেত। ধ্বংস হতো কাবুল শহর। তালেবান যোদ্ধারা কাবুলের লোকদের ওপর হামলা করত। তাই রক্তের বন্যা এড়াতে দেশ ছাড়াকে শ্রেয় মনে করি।’
গনি নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান এক টুইটে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে বলেন, আমাদের হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে জন্মভূমিকে বিক্রি করে দিয়েছেন জঘন্য ওই ধনী ব্যক্তি আর তার দল।
তবে গনি পালালেও আফগানিস্তানের আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এখনও দেশেই রয়েছেন। দেশটিতে সরকার গঠনের জন্য তালেবানের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
-ডিকে