অনলাইন ডেস্কঃ
সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়নের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
দলের নীতি নির্ধাকরা জানান অতীতের মতো এবার আর ছাড় দেবে না। বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক নেতা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের (পার্লামেন্টারি পার্টি) সদস্যরা যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৩৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া নির্বাচন ইস্যুতে আরও ১৫টি সাব কমিটি গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের জন্য গঠিত ৩৩ সদস্যের প্রধান কমিটি ওই সাব কমিটিগুলোর কর্মকাণ্ড তদারকি করবে।
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাইকে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, অতীতে অনেকে অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে, দলের শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কাজ করেছে। পরে নানা কারণে তাদের নমনীয় দৃষ্টিতে দেখা হয়েছে। কিন্তু এবার আর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
কেউ দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে বা দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করলে তাৎক্ষণিকভাবে সারাজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। দলে তারা স্থান পাবে না।
যাদের জনপ্রিয়তা আছে তারাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। যে মনোনয়ন পাবে না তাকেও দলের পক্ষে কাজ করতে হবে। কারণ দলকে ক্ষমতায় আসতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিজয়ী হতে হবে।
-আরবি