আজ দেশের ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য’ বাজেট ঘোষণা

আজ দেশের ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য’ বাজেট ঘোষণা
আজ দেশের ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য’ বাজেট ঘোষণা

অর্থনীতিঃ
আজ (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এটি মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় বাজেট অধিবেশনে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী।

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা শেষে আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট উপস্থাপন করা হবে।

এবারের বাজেটের স্লোগান ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’।

এটি হবে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট এবং বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের তৃতীয় বাজেট ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর তৃতীয় বাজেট।

জানা গেছে, এবারের বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যখাতে।

পাশাপাশি করোনার মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহের বাস্তবায়ন, কৃষি খাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের মূল আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।

মহামারির কারণে সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা করা হয়েছে। বিশাল পরিমাণ এ ব্যয়ের বিপরীতে মোট আয় ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছর মোট আয় ধরা হয় ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। সে হিসেবে আয় বাড়ছে ১১ হাজার কোটি টাকা। মোট আয়ের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

এছাড়া আগামী বাজেটে এনবিআর-বহির্ভূত কর থেকে আসবে ১৬ হাজার কোটি টাকা। আর কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হচ্ছে ৪৩ হাজার কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরে বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হচ্ছে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি বাজেটে প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে মোট জিডিপির আকার ধরা হচ্ছে ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বাজেটে মোট উন্নয়ন ব্যয় ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা, যা এরই মধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) অনুমোদন দিয়েছে। চলতি বছরের বাজেটে এডিপির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছর সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হবে ঋণের সুদ পরিশোধে। এ খাতে বরাদ্দের ৬৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকার মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বাবদ খরচ হবে ৬২ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ ব্যয় হবে ৬ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।

ব্যয় সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে আগামী অর্থবছর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণ, নির্মাণ ও পূর্ত কাজ, শেয়ার ও ইক্যুইটিখাতে বিনিয়োগ চলতি অর্থবছরের তুলনায় কমাবে সরকার। মূলধন ব্যয় নামে এসব খাতে আগামী অর্থবছর বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩২ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছর উন্নয়নখাতে সিটি করপোরেশন ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ উন্নয়ন খাতে মোট ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। অব্যবস্থাপনা ও সক্ষমতার অভাবে তা বাস্তবায়ন করতে না পারায় সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ কমিয়ে ২ লাখ ৮ হাজার ২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০২১-২২ অর্থবছরেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে। এছাড়া ১০ শতাংশ কর দিয়ে নগদ বা ব্যাংকে রাখা টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখা হতে পারে।

-টিবি

FacebookTwitter