আইন আদালতঃ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ রোববার (৩০ মে)।
তাই নতুন করে আরও এক সপ্তাহ লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে সীমান্তবর্তী জেলায় কঠোর লকডাউনের আওতায় আসতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে দেশের সীমান্তবর্তী জেলায় কঠোর লডকাউনের বিষয়ে আলোচনা শোনা যাচ্ছে। কারণ ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ করোনার হটস্পট হয়ে ওঠায় গত সোমবার থেকে এক সপ্তাহ বিশেষ লকডাউন দেওয়া হয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণ বাড়তে থাকলে জেলাভিত্তিক বিশেষ লকডাউন দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা করোনার হটস্পট হয়ে ওঠায় সরকারকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। ফলে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে মানুষের চলাচল সীমিত করতে কঠোর লকডাউন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর মানুষের সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহ যেন অন্য জেলার মানুষের যোগাযোগ কম হয়।
চলতি বছরের করোনাভাইরাস আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ায় ৫ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। ধাপে ধাপে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
এর আগে শনিবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, করোনাভাইরাস ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলায় কঠোর লকডাউন জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা ৩৫টি। সীমান্তবর্তী জেলার লোকজনের যাতায়াত বেশি। ইতোমধ্যে ভারত থেকে দেশে ফিরে আসা বেশ কয়েকজনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তাই সীমান্তবর্তী জেলায় লকডাউন জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরও বলেন, সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ অন্য শহরে না যেতে পারে সেজন্য কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে। একইসঙ্গে অন্য জেলার মানুষও যেন সীমান্তবর্তী জেলায় প্রবেশ করতে না পারে। ভারত থেকে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় বৈধ বা অবৈধভাবে বাংলাদেশে যারাই আসুক না কেন তাদের অবশ্যই কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে।
-কেএম