নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এলিভেটর বা লিফট কেনায় বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশি সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। ওয়ালটন লিফট কিনলেই ক্রেতারা পাচ্ছেন একটি ওয়াশিং মেশিন অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেন সম্পূর্ণ ফ্রি। এর পাশাপাশি থাকছে লিফটে ফ্রি ইন্সটলেশন সুবিধা। রয়েছে এক বছরের ফ্রি মেইনটেনেন্সসহ পাঁচ বছরের কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন লিফট কেনার সুযোগ।
ওয়ালটন এলিভেটরের ব্র্যান্ড ম্যানেজার জাকিবুর রহমান সেজান জানান, নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে লিফট বিক্রি করছে ওয়ালটন। লিফটের সঙ্গে ফ্রি ওয়াশিং মেশিন অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেন পাওয়া যাবে ৩১ মে, ২০২১ পর্যন্ত। করোনা মহামারিতে ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা দিতেই লিফট কেনায় এই সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন এলিভেটরের গবেষণা ও উন্নয়ণ (আর এন্ডডি) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান জানান, ওয়ালটনের লিফট তৈরিতে ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ যেমন ট্রুপাঞ্চ (জার্মানি), ট্রুবেন্ড (জার্মানি), ওয়াটার জেট কাটিং মেশিন (আমেরিকা), ইউনিভার্স্যাল মিলিং মেশিন, প্লানোমিলার, লেজার কাটিং, অটোমেটেড গ্যাস কাটার এবং ওয়েল্ডিং মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে তৈরি করা হচ্ছে ওয়ালটন লিফট।
পাঁচ বছরের কিস্তিতে কেনার ক্ষেত্রে বিশ্বমানের ওয়ালটন লিফটে সর্বনি¤œ মাসিক কিস্তি পড়ছে মাত্র ২৮ হাজার টাকা।
ওয়ালটন এলিভেটর বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সোহেল রানা বলেন, একমাত্র ওয়ালটনই ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বাংলাদেশে লিফট তৈরি করছে। অবকাঠামো নির্মাণ, গবেষণা এবং মান উন্নয়ন বিভাগ ও ইউরোপীয় প্রযুক্তির অত্যাধুনিক মেশিনারিজ স্থাপন করতে এ পর্যন্ত ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি টাকা বিনিয়োগ করেছে ওয়ালটন। স্থানীয় ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় ওয়ালটন লিফটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, ওয়ালটন লিফট বাজারজাত করার আগে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। গাজীপুরের চন্দ্রায় ৫ একর জমির ওপর ওয়ালটনের লিফট কারখানা অবস্থিত। লিফট তৈরিতে ইউরোপীয় নিরাপত্তা কোড-ইএন ৮১-২০, ইএন ৮১-৫০ এবং ইএন ৮১-৭০ অনুসরণ করছে ওয়ালটন।
বর্তমানে প্রতি বছর ওয়ালটন কারখানায় চার শতাধিক ইউনিট এলিভেটর তৈরি হচ্ছে। ভবিষ্যতে বছরে ২,০০০ ইউনিট লিফট উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে ওয়ালটনের।
প্রকৌশলীরা জানান, বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের দুই ধরণের লিফট। প্যাসেঞ্জার ও কার্গো। প্যাসেঞ্জার লিফটের ধারণক্ষমতা ৩০০ কেজি থেকে শুরু করে ৩ হাজার কেজি পর্যন্ত। এসব লিফটে ৪ থেকে ৪০ জন প্যাসেঞ্জার একই সময় বহন করা যায়।
অন্যদিকে কার্গো লিফটের ধারণক্ষমতা ৮০০ কেজি থেকে ৫,০০০ কেজি পর্যন্ত। ওয়ালটনের প্যাসেঞ্জার লিফটে রয়েছে চারটি বিশেষ ফিচার। সেগুলো হলো- অটোমেটিক ডোর স্পিড কন্ট্রোল (অঁঃড়সধঃরপ উড়ড়ৎ ঝঢ়ববফ ঈড়হঃৎড়ষ), এআরডি (অঁঃড়সধঃরপ জবংপঁব উবারপব), ফায়ার এমার্জেন্সি রিটার্ন (ঋরৎব ঊসবৎমবহপু জবঃঁৎহ) এবং ওভার লোড সেন্সর (ঙাবৎ খড়ধফ ঝবহংড়ৎ)। একই ফিচার রয়েছে কার্গো লিফটেও। পাশাপাশি কার্গো লিফটে যুক্ত হয়েছে সেন্টার ওপেনিং বা স্লাইডিং ডোর (ঈবহঃবৎ ঙঢ়বহরহম/ঝষরফরহম উড়ড়ৎ) এবং ডোর লোড ডিটেক্টর (উড়ড়ৎ খড়ধফ উবঃবপঃড়ৎ)।
ওয়ালটনের লিফটে ব্যবহৃত হচ্ছে অত্যাধুনিক পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী গিয়ারলেস মোটর। এছাড়া দুই ধরণের লিফটেই ব্যবহৃত হচ্ছে ঠঠঠঋ (ঠধৎরধনষব ঠড়ষঃধমব ঠধৎরধনষব ঋৎবয়ঁবহপু) পড়হঃৎড়ষষবৎ.
সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবায় ওয়ালটনের রয়েছে নিজস্ব অভিজ্ঞ সার্ভিস টিম। লিফটের যে কোনো সমস্যায় তাৎক্ষণিক সার্ভিস টিম পৌঁছে যায় গ্রাহকের কাছে। লিফট কেনার এক বছরের মধ্যে কোনো যন্ত্রাংশে সমস্যা দেখা দিলে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে।
-কেএম