আইন আদালতঃ
বহুল আলোচিত হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় জড়িত জঙ্গিদের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, তাদের একজনের সঙ্গে প্রায় দেড় মাস পাকিস্তানেও ছিলেন তিনি। রবিবার এক ব্রিফিংয়ে এমন কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ।

এ ছাড়াও, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি শরিফুল হক ডালিমের সঙ্গে মামুনুল হকের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। তার শ্বশুরের আপন ভায়রা ভাই হচ্ছেন মেজর ডালিম। মামুনুল হক হেফাজতকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিলেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ।

তিনি আরও বলেন, মামুনুল হকের জব্দ করা মোবাইল ফোন থেকে বাবরি মসজিদের নামে কাতার, দুবাই ও পাকিস্তান থেকে টাকা আনার তথ্য-প্রমাণও মিলেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে ‘জঙ্গিবাদের’সঙ্গে মামুনুলের সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে এসেছে উল্লেখ করে উপ-কমিশনার হারুন জানান, তার ভগ্নিপতি মাওলানা মুফতি নেয়ামত উদ্দিন মাওলানা তাজউদ্দীন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।

তিনি জানান, মামুনুলের ভগ্নিপতি নেয়ামত উদ্দিন গ্রেফতারও হয়েছিল। তাকে পরে ছাড়িয়ে আনে। এই নেয়ামতের সঙ্গে ২০০৫ সালে পাকিস্তানে গিয়ে ৪৫ দিন ছিলেন মামুনুল। সেখানে বিভিন্ন জঙ্গি-রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে তখন যোগাযোগ করে।

গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার গ্রেফতার করা হয়।

পরে ১৯ এপ্রিল তাকে রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে (সিএমএম আদালত) নেওয়া বিচারক মামুনুল হকের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

-কেএম

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily