জাপানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

জাপানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
জাপানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

আন্তর্জাতিকঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় আবারও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে জাপান।

এবার নিয়ে মহামারি মোকাবেলায় জাপানে তৃতীয় দফায় জরুরি অবস্থা জারি হলো। তাতে অনিশ্চিত হয়ে উঠছে অলিম্পিকের সম্ভাবনা।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা এ ঘোষণা দেন। রাজধানী টোকিও, ওসাকা এবং আরও দুটো প্রশাসনিক এলাকায় প্রায় দু’সপ্তাহ এই জরুরি অবস্থা জারি থাকবে বলে জানিয়েছে জাপান সরকার।

প্রধানমন্ত্রী সুগা বলেন, রোববার থেকে জরুরি অবস্থা শুরু হবে এবং চলবে ১১ মে পর্যন্ত। এর আওতায় থাকবে টোকিও, ওসাকা, কিয়োটো এবং হিয়োগো। এই সময়টিতে পানশালা, রেস্তোরাঁ, কারাওকে বার ও পাচিঙ্কো পার্লারের মতো বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠানসহ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোও বন্ধ রাখতে হবে। কেউ এই নির্দেশনা না মানলে জরিমানা করা হবে।

এবার সীমিত কয়েকটি এলাকায় জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত হলেও দেশের মোট জনসংখ্যার এক–চতুর্থাংশ এর আওতায় পড়বে। এ ছাড়া অর্থনীতির এক–তৃতীয়াংশের ওপর সরাসরি এর প্রভাব পড়বে।

করোনা সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভাবতে হচ্ছে জাপান সরকারকে। তার মধ্যে বিশেষ করে টোকিও অলিম্পিক আয়োজন। অলিম্পিক গেমসের আসর বসতে বাকি মাত্র তিন মাস। আগামী ২৩ জুলাই থেকে টোকিওতে এই ক্রীড়া আসর বসবে। তার আগে এই পদক্ষেপে করোনা সংক্রমণ বাগে আনা যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন সুগা।

গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গত বছরের ২৪ জুলাই জাপানের রাজধানীতে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্চের শেষের দিকে করোনাভাইরাস মহামারিজনিত কারণে বাতিল করে এবছর জুনে নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে জাপানে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে।

তাছাড়া, এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জাপানে ‘গোল্ডেন উইক’ এর ছুটি। এ সময়ে মানুষের অবাধ যাতায়াত বেড়ে যাবে। তাতে ভাইরাসের সংক্রমণ আরও যাতে বেড়ে না যায় সেকথা মাথায় রেখেও নেয়া হয়েছে এ পদক্ষেপ।

‘বর্তমান রূপটি আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এজন্য আমরা গোল্ডেন উইক মওসুমকে কেন্দ্র করে এই শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ করছি’ বলেন সুগা।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে জাপান ব্যাপকভাবে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। জাপানের ১২৬ মিলিয়ন লোকের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১% এরও কম লোক টিকা নিয়েছেন।

-কেএম

FacebookTwitter