অনলাইন ডেস্কঃ
সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল, তা নিরাপত্তাজনিত কারণে আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার বিকেলে ওবায়দুল কাদের গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শন করেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তো তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এত বড় বড় নেতা, জাতীয় নেতারা সিলেট যাবেন। তাদের নিরাপত্তা তো দেখতে হবে। সিলেটের সমাবেশ বন্ধ করা হয়নি, আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু সিলেট মহানগর পুলিশ তাদেরকে সমাবেশ করতে অনুমতি দেয়নি।
জানা গেছে, গত বুধবার সিলেট বিএনপির পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল মহানগর পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে দেখা করে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে একটি চিঠি দেয়। তবে তাদের এ আবেদনে সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ। আজ এ প্রসঙ্গেই ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের এক বক্তব্যের মন্তব্য করতে গিয়ে কাদের বলেন, মওদুদ আহমদের গলার জোর ছাড়া কিছু নেই। তার চাপাবাজি ছাড়া আর কিছু নেই। রাস্তায় জনগণকে ডাক দিক না, জনগণ তাকে সাড়া দেয় কি-না। আন্দোলন কি জনগণ ছাড়া করবে?
এ ছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গোড়াতেই গলদ বলে ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আর তাদের এই ঐক্যফ্রন্টের গোড়াতেই গলদ। শুরুটাই তারা করেছে বিদেশিদের দিয়ে। জনগণের কাছে না গিয়ে। ঐক্যফ্রন্ট গেছে বিদেশিদের কাছে। গতকাল দেখেননি? ঐক্যফ্রন্ট বিদেশিদের আস্থায় আনতে চায়।
জনগণের আস্থা তাদের কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। যদি জনগণের প্রতি তাদের আস্থা থাকত, তাহলে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর, প্রথম তারা সাক্ষাৎ করেছে বিদেশিদের সাথে। তারা জনগণের কোনো সমাবেশে যায়নি। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়, এরা কতটা দেউলিয়া।
এ সময় বর্তমানে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ বিরাজ করছে দাবি করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বলেন, জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে চায়। সেই ভোটমুখী জনগণকে আন্দোলনমুখী যারা করতে চাইবে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, চন্দ্রা ফ্লাইওভারের কাজ ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে ফ্লাইওভারে চলাচল শুরু করা যাবে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাসেক প্রকল্প পরিচালক মো. ইছহাক আলী, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সওজের ঢাকা জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খানসহ সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
-আরবি