পর্যটন খাতের প্রসারে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ জরুরী

পর্যটন খাতের প্রসারে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ জরুরী
পর্যটন খাতের প্রসারে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ জরুরী

ডেস্ক রিপোর্টঃ
পর্যটনখাতের প্রসারের জন্য শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ জরুরী। আর এজন্য আইন সংশোধনও প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি) ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।

১৩ মার্চ ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ২০৪০ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও করণীয় শীর্ষক’ এক ভার্চুয়ালি সভায় এ অভিমত প্রকাশ করা হয়। এটিজেএফবি’র সভাপতি ও এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মোঃ শরিফুল ইসলাম।

সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, কমিউনিকেশনস অফিসার সরকার শামস বিন শরীফ, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান এবং এটিজেএফবি’র সাধারণ সম্পাদক ও বিএসএস’র অনলাইন ইনচার্জ তানজীম আনোয়ার।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভী।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, কানাডা, স্পেন, নেপালসহ বিশ্বের ৬৩টি দেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত জায়গা নিষিদ্ধ করে আইন রয়েছে। অথচ আমাদের দেশের আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা, চার দেয়ালে আবদ্ধ এক কক্ষ বিশিষ্ট নয় এমন রেস্টুরেন্ট, একাধিক কক্ষবিশিষ্ট গণপরিবহনে (ট্রেন, লঞ্চ) ও অযান্ত্রিক পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের স্থান রাখা যাবে। অথচ হওয়া উচিত, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা ৭ সংশোধন করে সব ধরনের পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা এবং ধূমপানসহ যেকোন ধরনের তামাক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা।

ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যিনি ধূমপান করেন না তার অধিকার আছে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য। অথচ পরোক্ষ ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যাই বেশি। যেহেতু ধূমপানের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। সেজন্য সব ধরনের পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা উচিত। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমই পারে আমাদের এই বার্তা নিয়মিত ভাবে সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে।

এটিজেএফবি’র সভাপতি ও এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণ বলেন, পর্যটন সেক্টরের বিকাশের জন্য পর্যটন বান্ধব পরিবেশ জরুরী। এজন্য গণমাধ্যমকর্মীরাই পারে তাদের ক্ষুরধার লেখনি দিয়ে সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।

ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্সের সহযোগিতায় সভায় এটিজেএফবি’র যে সদস্য সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন তারা হলেন- আলতাব হোসেন (যায় যায় দিন), সোহেল হোসাইন (দ্য ডেইলি সান), খালিদ হোসাইন (বিটিভি), আশিক হোসাইন (বৈশাখী টিভি), মাসুদ রুমী (কালের কণ্ঠ), রাশিদুল হাসান (দ্য ডেইলি স্টার), জুলহাস কবির (আরটিভি), তৌহিদুল ইসলাম (আমাদের সময়), আতিকুর রহমান (এনটিভি) ও মঞ্জুরুল ইসলাম (বনিক বার্তা)।

আরও পড়ুন:

উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনের যেসব দূর্বলদিক তামাক নিয়ন্ত্রণে বাধা রয়েছে সেগুলো হলো- বিদ্যমান আইনে গণপরিবহন ও রেস্তোঁরাসমূহে ক্ষেত্রবিশেষে ধূমপানের সুযোগ রাখা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়নি, বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ নয়, ই-সিগারেটের মতো এমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসমূহ আমদানি ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, সবধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের আকার/আয়তন নির্ধারণ না করায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে ও তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়নি।

-শিশির

FacebookTwitter