অনলাইন ডেস্ক
নির্বাচনের আগেই সরকারের পদত্যাগ দাবি করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
প্রেসক্লাব থেকে সমাবেশে শেষে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে যাওয়ার সময় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বিক্ষোভকারীরা।
তখন পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে সচিবালয়ের গেটের সামনে পৌঁছে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এরপর ২৩ অক্টোবর একই দাবিতে গণঅবস্থান কর্মসূচি এবং ২৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, ইভিএমের ব্যবহার না করা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে রোববার বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বাম জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, ‘গতবার ১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তারা এনালগ কারচুপি করে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে তারা সেখানে অবৈধভাবে মেন্ডেড বিহীন সংসদ চালিয়েছে।
এবার তারা বুঝেছে শুধু এনালগ কারচুপির মাধ্যমে পার পাওয়া যাবে না। তাই ইভিএমএর নামে ডিজিটাল কারচুপি করে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়। আমরা বলেছি এসব চলবে না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার দরকার। দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না বর্তমান সরকারের অধিনে ভোটাধিকার প্রয়োগ হবে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার সব স্বৈরতন্ত্রের মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। তারা জনগণকে রাষ্ট্রের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতন্ত্রের চর্চা নেই। এ রাজনীতির ধারা শেষ করতে না পারলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ,গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুদ্দীন কবীর আতিক ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক।
সমাবেশ শেষে জোটের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় হয়ে পরে সচিবালয়মুখী দিকে আগাতে থাকে। এ সময় সচিবালয়ের গেটের সামনে থাকা পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে বাধা দেয়। মিছিলটি ব্যারিকেড সরিয়ে এগুনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় নেতা কর্মীরা থেমে থেমে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বাম জোটের সমন্বয়কের কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে বিক্ষোভ শেষ হয়।
-আরবি