সারাদেশঃ
লক্ষীপরে সম্পত্তির লোভে নিজ মাকে গুম করার অভিয়োগ পাওয়া গেছে। মৃত হাফিজ উল্লাহ পাটোয়ারীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম(৮০), গ্রাম- আব্দুল্লাপুর, থানা- সদর, জেলা- লক্ষীপুর।
গত ২ ফেব্রুয়ারি বেলা আনুমানিক ১১টার সময় ১০/১২ জন গুন্ডাপান্ডা সহ নিজ মাকে বসত বাড়ি থেকে অজানার উদ্দেশ্যে উধাও হয়ে আত্নগোপনে আছেন গ্রাম ডাক্তার সবুজ।
জানা গেছে, মনোয়ারা বেগম (৮০) একজন ব্রেইন স্ট্রোক রোগি। তার পরও তিনি পঙ্গু ও প্যারালাইসিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন।
পরিবারের ১০ সন্তানদের মধ্যে গুমকারী সবুজ মেঝো সন্তান। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অসুস্থ্য মাকে নিয়ে নানা রকম দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছেন।
পরিবারের বড় সন্তান মুসলে উদ্দিন জানান, সবুজ একজন সন্ত্রাসী। ইতিপূর্বে তিনি মায়ের সম্পত্তি বিষয়ক দায়েরকৃত মামলা জোর পূর্বক তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করতে পারেন। অন্যথায় আমার মা সম্পত্তি লিখে না দিলে তাঁকে মেরেও ফেলতে পারেন।
পরিবার থেকে সবুজের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাদের মাকে ফিরিয়ে আনতে অনুরোধ করলে সবুজ সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি না নেওয়া পর্যন্ত তার মাকে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার জানায়। পরবর্তীততে পুলিশ ফোন করলে তার ফোন বন্ধ করে দেন।
সকল পরিস্থিতি চিন্তা করে পরিবারের মেঝ মেয়ে কোহিনূর বেগম লক্ষীপুর কোর্টে মা কে উদ্ধারে মামলা করলে (মামলা নং ২৯/২১ ) কোর্ট সবুজকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন এবং দ্রুত মনোয়ারা বেগমকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন।
কিন্ত অজানা কারনে ২০ দিনেও তাদের মাকে পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি। এ ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করলে পুলিশ জানায়, আপনারা সবুজকে দেখিয়ে দিন আমরা তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসবো।
বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমের নাতনী রুমি জানান, আমি খুব তাড়াতাড়ি আমার দাদিকে ফিরে পেতে পাই। দাদি অনেক অসুস্থ, তাঁর কথা বলা, চলাচলে অসংলগ্নতা বিরাজ করে। এভাবে আত্নগোপনে থাকলে তিনি মারাও যেতে পারেন।
-শিশির