শিক্ষাঃ
আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন।
তবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে হলগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
চলতি মাসের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। করোনা টিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেওয়া নিশ্চিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে।
এরপর বিশ্বিবদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবে। সেক্ষেত্রে একটি পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা সংক্রমণের মহামারি। হঠাৎ করে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া টিক হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার একটি পরিকল্পনা করেছে সরকার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বিশ্বের অন্য দেশের মতো আমাদের দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা টিকা নিচ্ছেন। এরপরের ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে যে শিক্ষার্থীরা থাকেন, তাদেরও টিকা দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পন্ন হলেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হতে পারে। তবে কবে নাগাদ শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হবে সেই সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয়ভাবে নেয়া হবে, অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলোচনার পরই খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
-ডিকে