সারাদেশঃ
নোয়াখালী জেলা শহরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সভা আহ্বানকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসন কাল মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সব ধরণের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে জেলা তথ্য অফিসের প্রচার মাইকে জেলা প্রশাসনের বরাত দিয়ে এ বিধি নিষেধের কথা জানান দেয়া হয়।
জানা যায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে লক্ষ্য করে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিমের দেয়া মানহানিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে ২৬ জানুয়ারি জেলা শহর মাইজদীর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ আহ্বান করেন নোয়াখালী পৌর মেয়র শহীদ উল্যা খাঁন সোহেল।
অন্যদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী সমর্থিত নেতাকর্মীরা একইদিনে একইস্থানে সরকারের ১২ বছরের উন্নয়ন তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশংকা দেখা দেওয়ায় প্রশাসন এ বিধি-নিষেধ আরোপ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আমম খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে নোয়াখালী পৌরসভা এলাকায় সব ধরণের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উভয় পক্ষের কর্মসূচি পালন বন্ধ রাখার লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটের সময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে রাজাকারের পরিবার বলে আখ্যায়িত করে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এসব নিয়ে কথা বলা শুরু করবেন বলে হুমকি দিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করেন।
পরে তিনি ভিডিওটি সরিয়ে নিলেও মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই ভিডিও ভাইরাল হয়। এর প্রতিবাদে ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকা কোম্পানীগঞ্জের দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করে তারা।
-কেএম