নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চলতি বছরের শুরু থেকেই ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর বাজারজাত করছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। সেই সঙ্গে তারা বাজারে ছেড়েছে আধুনিক ডিজাইনের গ্লাস ডোর ফ্রিজ।
ফলে, এ বছর স্থানীয় বাজারে মার্সেল ফ্রিজের গ্রাহকপ্রিয়তা বেড়েছে ব্যাপক। এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রি করেছে মার্সেল।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত রোজা ও কোরবানি ঈদে স্থানীয় বাজারে ব্যাপক পরিমান মার্সেল ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি দেশব্যাপী চলমান মার্সেল ডিজিটাল ক্যাম্পেইনও বিক্রিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
জানা গেছে, স্থানীয় বাজারে ২০১৭ সালে প্রায় ১ লাখ ৬৯ হাজার ইউনিট ফ্রিজ বিক্রি হয়েছিল মার্সেলের। এদিকে এবছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ইউনিট ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে । যা ২০১৭ সালের মোট ফ্রিজ বিক্রির পরিমানের চেয়েও বেশি। এর মধ্যে রোজা ও কোরবানি ঈদেই প্রায় দেড় লাখের মতো ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটির। আর চলতি বছরে মার্সেলের টার্গেট প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার ইউনিট ফ্রিজ বিক্রির।
এদিকে সারা দেশে চলছে মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৩। অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের উদ্যোগ বাস্তবায়নে চলছে মার্সেলের এই ক্যাম্পেইন। বর্তমানে ক্যাম্পেইনের সিজন থ্রি চলছে। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এবং জুলাই থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত পরিচালিত ক্যাম্পেইনে গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় শুরু হয়েছে সিজন থ্রি।
এর আওতায় মার্সেল পণ্য কিনে রেজিস্টেশন করলেই ক্রেতারা পেতে পারেন নতুন গাড়ি, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এলইডি টিভিসহ অসংখ্য পণ্য ফ্রি অথবা নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। এরইমধ্যে ফ্রিজ কিনে নতুন গাড়ি পেয়েছেন মেহেরপুরের গৃহবধূ রোকসানা খাতুন এবং খুলনার সবজি বিক্রেতা ইকরামুল সরদার। এছাড়া অসংখ্য গ্রাহক পেয়েছেন এক লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভিসহ বিভিন্ন উপহার।
মার্সেলের হেড অব সেলস ড. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, বাজারে গ্রাহকদের ক্রয় সক্ষমতা অনুযায়ী যুগোপযোগি ডিজাইন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সব ফ্রিজ বাজারে ছাড়ায় এ বছর বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। বিশেষ করে, ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার ফ্রিজ এবং গ্লাস ডোর ফ্রিজ গ্রাহকদের মন জয় করে নিয়েছে। বিক্রির বর্তমান ধারায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমান ফ্রিজ বিক্রি হবে বলে তিনি আশাবাদী।
মার্সেল বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, উচ্চ গুণগতমান সম্পন্ন ৭২ মডেলের ফ্রিজ প্রদর্শিত ও বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫৮ মডেলের ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ২ মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর ও ১২ মডেলের ডিপ ফ্রিজ। ফ্রস্ট ফ্রিজে রয়েছে টেম্পারড গ্লাস ডোরের ১৬ টি ডিজাইন। এর মধ্যে রয়েছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ৩৪৮ লিটারের ফ্রিজ। বাজারে ছাড়ার অতি অল্প সময়েই ব্যাপক গ্রাহপ্রিয়তা পেয়েছে মার্সেলের এসব ফ্রিজ। এছাড়া ৫০-৫০ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজও ভালো বিক্রি হচ্ছে। এই মডেলটিতে নরমাল অংশের সমান বড় ডিপ থাকায় গ্রাহকদের আলাদা করে ডিপ ফ্রিজ কিনতে হচ্ছে না। লাগবে না স্ট্যাবিলাইজার। এছাড়াও ইনভার্টাার প্রযুক্তির ৪৩০ লিটার আয়তনের দুটি মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরেরও বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
মার্সেল ফ্রিজের প্রকৌশলীরা জানান, বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে উচ্চ প্রযুক্তিতে তৈরি যুগোপযোগি মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। মার্সেল ফ্রিজের কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট। আন্তর্জাতিকমান সম্পন্ন টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে কিউসি পাস নিয়ে পণ্য বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
সূত্রমতে, মার্সেল ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টিসহ কম্প্রেসারে রয়েছে ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি সুবিধা। এছাড়াও আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের আওতায় দেশব্যাপী ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টার থেকে বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে মার্সেল। দিচ্ছে হোম সার্ভিসও। গ্রাহকরা যেকোন মোবাইল থেকে ১৬২৬৭ নম্বরে কল করে বছরের ৩৬৫ দিনই পাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা। তথ্য প্রাপ্তির পর গ্রাহকের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সার্ভিস প্রোভাইডার। মার্সেলের এই সেবা এরইমধ্যে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে।
–এসএম