“ব্র্যান্ডফেস্ট ২০২০ – দ্য নেক্সট বাংলাদেশ” শুরু

"ব্র্যান্ডফেস্ট ২০২০ - দ্য নেক্সট বাংলাদেশ" শুরু
"ব্র্যান্ডফেস্ট ২০২০ - দ্য নেক্সট বাংলাদেশ" শুরু

ব্র্যান্ডঃ
ব্র্যান্ড এবং মার্কেটিং এর বৃহত্তম উৎসব “ব্র্যান্ডফেষ্ট – দ্য নেক্সট বাংলাদেশ” গত ২৮ শে ডিসেম্বর ভার্চুয়ালি শুরু হয়েছে।

এআইইউবি এর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং এমসিসিআইয়ের সহযোগিতায় ৩ দিন ব্যাপি ব্র্যান্ডফেস্টে ব্র্যান্ড ও বিপণন বিষয়ে কৌশলগত আলোচনা ও সেশন পরিচালিত হচ্ছে ।

করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ অত্যন্ত নেতিবাচক সময় পার করেছে এবং মহামারী চলাকালীন সময়ে দেশের উন্নয়ন বিপর্যয় পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। দারিদ্র্যসীমার অধীনে পরে ভয়াবহতার শিকার হয়েছে ৪৯.৫ মিলিয়ন মানুষ ।

অর্থনৈতিক হুমকির মুখে পড়েছে দেশের ব্যবসাখাত। তবে আমরা লড়াই চালিয়ে গিয়েছি এবং একটি সন্তোষজনক অবস্থান নিয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘুরে দাঁড়িয়েছি।

এটি সম্ভব হয়েছিল কারণ আমরা সহনশীল ছিলাম এবং যখন আমরা আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রাখতে পরিশ্রম করছিলাম তখন আমাদের প্রচুর সমর্থন ছিল।

ব্র্যান্ডগুলির কারণে আমাদের এই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশকে উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেমন আরও এগিয়ে আসা দরকার, তেমনি দরকার আমাদের ব্র্যান্ডগুলোকেও এগিয়ে আসা।

এ কারণেই ব্র্যান্ডফেষ্ট এই আলোচনার বিষয়বস্তুগুলোকে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় বক্তাদের মাধ্যমে সামনে এনেছে যা দেশের উন্নয়নের সুযোগকে প্রসারিত করবে। ব্র্যান্ডফেস্ট এ কিনোট সেশন, প্যানেল আলোচনা, ইনসাইট অধিবেশন এবং বিস্তারিত আলোচনাসমূহ এই বিষয়গুলোকে সামনে তুলে ধরবে, যা বাংলাদেশকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করতে, পুনর্গঠিত করতে সহায়তা করবে।

ব্র্যান্ডফেষ্ট এ ১৬টি কিনোট সেশন, ৬টি প্যানেল আলোচনা ৪টি ইন্সাইট অধিবেশন এবং ৩টি ইন্ডেপথ আলোচনা হয়েছে। আলোচনাসমূহের প্রতিপাদ্য ছিল – প্রতিষ্ঠানগুলোর লক্ষ্য কী হওয়া উচিত, সেগুলি কীভাবে ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে এবং অবশেষে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। প্রথম দিনের একটি প্যানেল আলোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, মানুষ একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বেড়ে উঠছে এবং সেই সামাজিক অবস্থান ক্রমান্বয়ে সামাজিক সম্প্রীতিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই ধরনের আলোচনা মানুষকে পরিবর্তনের সুযোগ করে দিবে এবং তাদেরকে কর্ম ভিত্তিক বাস্তবায়নে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য বক্তারা হলেন, চার্লস এইচ কেলস্টাড্ট , এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়, গোইজুটিয়া বিজনেস স্কুল, বিজনেসের প্রফেসর ডঃ জগদীশ এন শেঠ; চিফ অপারেটিং অফিসার, এডিএনএ গ্লোবাল, ডাব্লুডাব্লু গ্রুপ ডিরেক্টর ও ব্র্যান্ডিং, জি, এ গ্রুপ, নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, গ্রেস ব্লু পার্টনারশিপ, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর, বেটস ডেভিড মায়ো; ম্যানেজিং পার্টনার, ব্লেক প্রজেক্ট পাবলিশার, ব্র্যান্ডিং স্ট্র্যাটেজি ইনসাইডার, ডেরিক ডায়ে; পরিচালক, ইনস্টিটিউট অফ বিসনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ডঃ সৈয়দ ফেরহাত আনোয়ার; লেখক, ডিজাইনের ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি, লেখক, পরামর্শদাতা, স্পিকার, অ্যালিনা হুইলার এলএলসি, অ্যালিনা হুইলার; ডিন, মিয়ামি বিজনেস স্কুল, জন এ কোয়েলচ; অধ্যাপক ও ভাইস প্রোভাস্ট, মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়, লিওনার্ড এম মিলার; অধ্যাপক, ব্যবসায় প্রশাসন ইমেরিটাস, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল, চার্লস এডওয়ার্ড উইলসন; ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এফএমসিজি), মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আসিফ ইকবাল; ফাউন্ডার এবং চেয়ারম্যান, মার্কপ্লাস ইন, কো- ফাউন্ডার, এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন, কো- রাইটার, মার্কেটিং ৫.০, মার্কেটিং ৪ হারমাওয়ান করতাজায়া; ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও, ফিউচার ব্র্যান্ডস লিমিটেড সন্তোষ দেশাই; সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (পিভিটি) লিমিটেড, আশরাফ বিন তাজ এবং পলিসি এডভাইসর, পাবলিশার, দি গুড কান্ট্রি ইনডেক্স, অথর, দি গুড কান্ট্রি একুয়েশ্ সাইমন এনহল্ প্রমুখ।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে বলেছেন, “২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করার সাথে সাথে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশেকে উপস্থাপনের জন্য জাতীয় ব্র্যান্ডিংয়ের কৌশল ব্যবহার করা দরকার।“

ব্র্যান্ডফেস্টের শেষ দিনে বাংলাদেশ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হবে – নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্র থেকে, ব্র্যান্ড হিসেবে এবং কীভাবে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতার ৫০তম বছরে অংশ নিতে পারি সেই প্রসঙ্গে। বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ২০২০ সালের বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের ১২তম সংস্করণের সমাপ্তি ঘটবে।

ব্র্যান্ডফেষ্ট ২০২০ বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের একটি উদ্যোগ, যার পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল এআইইউবি। ইভেন্টটির স্ট্রাটেজিক পার্টনার ছিল বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম (বিসিএফ), নলেজ পার্টনার – মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ, টেকনলজি পার্টনার – আমরা, মিডিয়া পার্টনার দ্য ডেইলি স্টার, অনলাইন মিডিয়া পার্টনার – চ্যানেল আই অনলাইন, পিআর পার্টনার – ব্যাকপেজ পিআর, ভিজ্যুয়াল পার্টনার আতোষ, এবং ওয়েব সলিউশনস পার্টনার – এক্সেনটরা।

-শিশির

FacebookTwitter