সারাদেশঃ
সরিষাবাড়িতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
গতকাল ১৫ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবসকে সামনে রেখে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের বাড়িতে তার সমর্থিতদের জন্য মঙ্গলবার রাত ৭টায় খাবারের আয়োজন করা হয়।
একই সময় যুবলীগের নেতাকর্মীরা আওনা ইউনিয়নের জগন্নাথগঞ্জ ঘাট থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যমুনা সার কারখানা গেটপাড় এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় হেলাল মিয়া নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীর সাথে কথা কাটাকাটির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে একপর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে রামদা, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রের মহড়ায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকালে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম আহত হন।
এছাড়া উভয়পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমত আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, আনোয়ার হোসেন, মিজান, আবু তালেব, হাফিজুর, সাইফুল, লাল চাঁন, লিটন, জাহেদুল, উজ্জল, বেলাল, আবুল কালাম, মিন্টু, সাকিব, সাইদুল, ঠান্ডু, খালেক, ছানোয়ার, সেলিমসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ধ্যার পর বিজয় দিবস উপলক্ষে তারাকান্দি শহিদ মিনার চত্বরে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে আমিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হই। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
-ডেআর