কামরুজ জ্জামান, জার্মান প্রবাসী শিশু গবেষকঃ
১৯৯৬ সালে একজন জার্মান ইঞ্জিনিয়ারকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের তুলনামুলক অবক্ষয় নিয়ে বিষদ গবেষণা করবার পর, প্রাক প্রাথমিক শিশু শিক্ষা নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি যে ক’টা বিষয়ের সমাধানে তড়িৎ মনোনিবেশ করবার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তার সবগুলোই এখনও চরম ঝুকিপূর্ণ।
১. এক স্টে্রাক ইঞ্জিন চালিত মৃত্যুর বাতাস উৎপন্নকারী বেবীটেক্সি নিশিদ্ধ করণ।
সমাধানের ইঙ্গিতে বলেছিলাম বেবীটেক্সিগুলো ভর্তূকির মাধ্যমে নষ্ট করতে। ২০০২ সালে ঢাকা শহর থেকে সরানো হলেও আজও অবধি সাভার সহ সারাদেশে এখনও সেগুলো চলে।
২. যানজট ২০১০ সালের মধ্যই চরম আকার ধারণ করবার সম্ভাবনা।
সমাধানের ইঙ্গিতে বলেছিলাম বিভাগীয় শহরগুলোকে রাজধানীর সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার উপযোগী করে উন্নয়ন করতে হবে। এমন কি সচিবালয়ের শাখা বিভাগীয় শহরে স্থাপন করতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজধানী কেন্দ্রীক সুযোগ সম্ভাবনা অব্যাহত আছে। এবং সচিবালয়ের কাজ শুধু রাজধানীতেই সম্পন্ন হয়।
৩. বছর বছর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি রোধ না করলে দেশ তলিয়ে যাবে।
সমাধানে বলেছিলাম নদী, খাল খনন সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে। সমস্ত ড্রান ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। যার কোনটাই সম্পন্ন হয়নি। বরং খাল নদী ভরাট হয়েছে।
৪. পানির পচনশীলতা রােধ করতে হবে। অন্যথায় জাতীয় স্বাস্থ্য ঝুঁকির মূখে পড়বে।
প্রত্যেকটি পুকুরের পাড় পরিস্কার এবং পানি পান উপযোগী করবার পরামর্শ সহ কৌশল সম্পর্কে অবগত করেছি। আজও এ বিষয়ে কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি।
৫. ছাত্র রাজনীতি বন্ধের মাধ্যমে কারিগরী শিক্ষার কথা বলেছিলাম। এবিষয়ে উন্নতি হয়েছে পঞ্চম শ্রেণী থেকে রাজনীতি বাধ্যতামূলক করার মত ঘৃণ্য পন্থা অবলম্বনের মধ্য দিয়ে।
৬. প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন সহ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড করার পরামর্শ দিয়েছি। আজও এ বিষয়ে কোন আলোচনা বা অগ্রগতি হয়নি।
৭. পচনশীল আবর্জনা যে কোন মূল্যে যেখানে সেখানে ফেলা পরিহার করতে হবে।
সমাধানে প্রত্যেকটি রান্না ঘরের পাশে কম্পোজপাত্রের মডেল সহ পরিকল্পনা প্রদান করেছি। যার তেমব কোন অগ্রগতি হয়নি।
৮. কোরবানীর জন্য প্রত্যেকটি মহল্লায় কমিউনিটি সেন্টার করবার পরামর্শ দিয়েছি।
শুধু ডিজিটাল স্লোগান দিয়ে দেশ জাতির উন্নয় হবে না। আনুসঙ্গিক কাজগুলো সম্পন্ন করা জরুরী। অন্যথায় সমাধানের শেষ সময়টা অবশ্যই পার হয়ে যাচ্ছে।