ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান

জাতীয়ঃ

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়াও বিশ্বের সকল দেশ যেন সময় মতো এবং একইসঙ্গে এই ভ্যাকসিন পায় তাও নিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি।

২৬ সেপ্টেম্বর, শনিবার সন্ধ্যার পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে এই আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। করোনা মহামারীর কারণে এবারের অধিশেনে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বক্তৃা দেয়া হয়।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, কারিগরি জ্ঞান ও মেধাসত্ত্ব পেলে বিপুল পরিমাণ করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। এছাড়াও রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণের অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, করোনা প্রমাণ করেছে সকলের ভাগ্য একই সূত্রে গাঁথা। আমার কেউ সুরক্ষিত নই, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করছি।

এ সময় করোনা মহামারী প্রতিরোধে নিজ সরকারের গ্রহণ করা বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জীবন ও জীবিকাকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়। দেশের ব্যবসা বাণিজ্য, উৎপাদন যাতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন না হয় সেজন্য প্রণোদনাও দেয়া হয়।

এ সময় রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। মিয়ানমারকেই তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। তিন বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। মিয়ানমারই এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে। তাদেরকেই এর সামাধান করতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো জোড়ালো ভূমিকা নেয়ার জন্য আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়াও জলবায়ু সমস্যা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশুর সুরক্ষা, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি ১৭তম ভাষণ। জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য লাভের পর ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু বাংলায় ভাষণ দেন। সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সব সময় বাংলায় ভাষণ দিয়ে আসছেন শেখ হাসিনা।

-কেএম/বাসস

FacebookTwitter