ব্যাবসা-বাণিজ্যঃ
কোন ধরনের ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে ভারত। এতে করে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে আটকা পড়েছে শত শত পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক।
এর মধ্যে হিলি স্থলবন্দরেই আটকা ৩০০টি ট্রাক। অনুমতি না পাওয়ায় এসব ট্রাকে থাকা প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে।
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর গত রবিবারের আগে টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজগুলো আমদানির অনুমোদন পায় বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। কিন্তু এখনো লিখিত অনুমোদন পাওয়া যায়নি। এ কারণে ১৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবারও আসেনি এসব ভারতীয় পেঁয়াজ।
ইতিমধ্যে ট্রাকগুলোতে পচতে শুরু করেছে পেঁয়াজ। এমনকি কিছু ট্রাক থেকে পেঁয়াজ পঁচা পানি ঝরছে। সময় যত গড়াচ্ছে এসব পেঁয়াজ ততই পচে যাচ্ছে।
এক ব্যবসায়ী জানান, এমনিতে খুব গরম। এরমধ্যে আবার বৃষ্টিও হচ্ছে। এমতাবস্তায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সব পেঁয়াজই পচে যাবে।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’র সভাপতি এইচ এম আরাফাত। তিনি বলেন, পেঁয়াজগুলো আমদানির জন্য বাংলাদেশ কাস্টমস ভারতের গোজাডাঙ্গা কাস্টমসকে গেটপাস দিয়েছে। এরপরও তারা পেঁয়াজ আটকে রেখেছে, যেটা অন্যায়। দ্রুত যদি এই অচল অবস্থার অবশান না হয় তাহলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
তিনি আরো জানান, এর মধ্যেই এলসির কোটি কোটি ডলার ভারতের ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে। এরপরও নীতি বহির্ভূতভাবে পেঁয়াজ আটকে রেখেছে ভারত।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের রপ্তানিকারকরা ২৫০ থেকে ৩০০ ডলারে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানি করছিলেন। কিন্তু দেশটিতে পেঁয়াজের মূল্য দ্বিগুণের বেশি হলে ওই মূল্যে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেন তারা।
-পি