মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ
১৯৯৫ সালে বেনজির ভুট্টোর আমন্ত্রণে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ফার্স্টলেডি হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন। তাঁদের একমাত্র সন্তান চেলসি ক্লিনটন।
পাকিস্তান সফরে গিয়ে পাকিস্তানিদের বেশভূষা সাজসজ্জা দেখে মুগ্ধ হয়ে পড়েন হিলারি। বিশেষ করে পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর কাজলে আঁকা চোখ হিলারিকে খুব মুগ্ধ করেছিলো। বেনজির একটু মোটা করে কাজলের রেখা টানতেন চোখে। এই কাজ তিনি নিজের হাতে করতেন। বেনজির সম্পর্কে ব্যাপক পরিচিত একটি কথা আছে — তিনি কখনো মেকাপ আর্টিস্ট দিয়ে সাজেননি। এমনকি তাঁর বিয়েতেও বিউটিশিয়ানের হাতে রূপসজ্জা করেননি। নিজের হাতে সেজেছেন। তাঁকে দুলহান সাজতে সহায়তা করেছেন ছোটবোন সোনম ভুট্টো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডির সম্মানে বেনজির ভুট্টো নৈশভোজের আয়োজন করেন। পাকিস্তানি সালোয়ার কুর্তার প্রতি হিলারির আগ্রহ দেখে বেনজির একঘন্টার মধ্যে হিলারি এবং চেলসির জন্য দুইসেট এক্সক্লুসিভ কালেকশন নিয়ে আসলেন।
হিলারির জন্য টুকটুকে লাল রঙের, চেলসির জন্য ময়ূরী রঙের। বেনজির নিজেই দুইসেট সালোয়ার কুর্তা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন হিলারির কক্ষে। ড্রেস দেখে হিলারি আনন্দে আটখানা হয়ে উঠেছিলেন। মা মেয়ে সেটা পরে নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন। হিলারির চোখে নিজের হাতে কাজল এঁকে দিয়েছিলেন বেনজির। হাতে পরিয়ে দিলেন সোনার চুড়ি। ড্রেস এবং সোনার চুড়ি পেয়ে হিলারি সেদিন ভীষণ খুশি হয়েছিলেন।
বেনজিরকে জড়িয়ে ধরে সেদিন তিনি বলেছিলেন, বেনজিরের দেয়া উপহার তিনি আজীবন যত্ন করে রেখে দেবেন।
লাল ড্রেস পরার পর হিলারির রূপ ঝলসে উঠেছিল। বেনজির মন্তব্য করলেন, “আল্লাহ তায়ালা পরী সৃষ্টি করেছেন। সেই পরী এখন আমার চোখের সামনে ……….।”
সেদিন বেনজির পরেছিলেন রয়েল ব্লু রঙের ড্রেস। হিলারি যখন হাঁটছিলেন, বেনজির মুগ্ধ চোখে হিলারির সেই হাঁটার সৌন্দর্য দেখেছিলেন।
-শিশির