আইন আদালতঃ
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার ওরফে লেবিকে (৬১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩১ জুলাই, শুক্রবার বেলা পৌনে একটার দিকে শহরের চরকমলাপুর এলাকায় নিজের কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় রুবেল-বরকতের পর আওয়ামী লীগের এই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
স্থানীয়রা জানান, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নাজমুল ইসলামকে তার কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে হাতকড়া পরিয়ে তাকে চেম্বার থেকে বের করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। নাজমুল ইসলাম খন্দকর শহরের চরকমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা মৃত খন্দকার আমিনুর রহমান ওরফে মজনু খন্দকারের ছেলে।
মানি লন্ডারিং মামলায় সিআইডির চাহিদা অনুযায়ী নাজমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘সিআইডির মানি লন্ডারিং মামলার প্রধান আসামি রুবেল-বরকতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নাজমুল ইসলাম লেভীর সম্পৃক্ততার প্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে গত ২৬ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দুই হাজার কোটি টাকার অবৈধ অর্থ ও সম্পদ আয় এবং পাচারের অভিযোগ এনে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি করে। মামলার বাদী সিআইডির পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ।
এ মামলার আরো দুই আসামি হলেন- ফরিদপুরের শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল। সম্পর্কে তারা দুই ভাই।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হন রুবেল ও বরকত। পরে তাদের মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রথমে দুই দিন এবং পরে আরো তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। পরে তাদের কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রেরণ করা হয়।
-কেএম