মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ
ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের গৌরব হতে পারতো। কিন্তু নিষ্টুরভাবে তার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশের একটি আলোকোজ্জ্বল প্রদীপকে ভয়াল থাবা মেরে নিভিয়ে দেয়া হয়েছে।
নিউইয়র্ক নগরীতে সবচেয়ে বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানো। এখানে অপরাধ করে পার পাওয়া সহজ নয়।
ফাহিম সালেহ’র খুনিকে নিউইয়র্ক পুলিশ শনাক্ত করে ফেলেছে। পেশাদার খুনিকে দিয়ে এইকাজ করানো হয়েছে। খুনি নিজের হাতে ফাহিমের রক্তেভেজা ফ্লোর পরিস্কার করেছে। তার আগে ফাহিমের প্রাণহীন দেহকে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে কেটে খণ্ডবিখণ্ড করেছে, ব্যাগে ভরেছে। তারপর যখন আঁচ পেয়েছে মানুষের সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে, তখন পেছনের সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে গেছে।
পালানোর সময় চাবির সাহায্যে দরোজা খুলে পালিয়েছে। এখানেই খটকা লাগছে —ফাহিমকে খুন করার আগে প্রচুর হোমওয়ার্ক করা হয়েছে টপ টু বটম।
নিউইয়র্ক ল’ এনফোর্সমেন্টের সূত্র থেকে বলা হয়েছে, হত্যাকারীকে গ্রেফতার করার আগ পর্যন্ত কোনো ইনফরমেশন পাবলিকলি শেয়ার করা হবেনা। যদিও খুনিকে পুলিশ শনাক্ত করে ফেলেছে। খুনিকে গ্রেফতার করার পর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
ফাহিম হত্যাকাণ্ডের পেছনে বড় ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং বিরোধ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফাহিম নাইজেরিয়া কলম্বিয়াতে তার ব্যবসার প্রসার ঘটনোর জন্য ব্যতিব্যস্ত ছিলেন। একই ব্যবসা কলম্বিয়ান এবং নাইজেরিয়ানদেরও আছে। ব্যবসায়িক শত্রুতা এখান থেকে শুরু হতে পারে।
এমনিতে এই দুইদেশের মানুষ খুবই বিপজ্জনক হয়। তারা মাফিয়াচক্র। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয়। অনেকে মনে করছেন এটা মাফিয়াদের কাজ। তবে দ্রুত ফাহিমের হত্যাকারী গ্রেফতার হবে বলে NYPD (New York Police Department) এর পক্ষ থেকে আভাস দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্র থেকে বলা হয়েছে অনেকটা করোনাভাইরাসের কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মত হত্যাকারীকে পুলিশ পাকড়াও করতে পারবে। করাতে খুনির ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে। আরও কিছু আলামত পাওয়া গেছে, যা এখন তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে।
-শিশির