সারাদেশঃ
আজ সোমবার সকালে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পানি প্রবাহ ছিল বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপরে।
এ কারনে তিস্তার ব্যারাজ এলাকা ও এর আশপাশ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তিস্তার এহেনো মূর্তিতে রাতেই ব্যারাজ এলাকা পরিদর্শনে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) একেএম সামসুজোহা ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুল হক।
একটানা চার দিনের ঢলে জেলার ডিমলা উপজেলার নদী বেষ্টিত পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপনী, পশ্চিমছাতনাই ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে এসব পরিবারের লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রমতে, উজানের ঢলে রোববার রাত ১২টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আজ সকাল আটটায় কিছুটা কমে ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
চলতি বর্ষায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে গত ২৬ জুন। ২৮ জুন পর্যন্ত বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অব্যাহত থাকে।
২৯ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
৬ জুলাই থেকে ১০ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার নিচে ছিল। সেদিন দুপুরে বিপৎসীমার ওপরে উঠলে রাতে ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, তিস্তা ব্যারাজের পানি ধারণক্ষমতা সাড়ে চার লাখ কিউসেক। এর বেশি প্রবাহ হলে পানি অপসারণের জন্য ফাড বাইপাস খুলে দিতে হয়। রোববার রাতে ফাড বাইপাস খুলে দেওয়ার কাছাকাছি পানি প্রবাহ পৌঁছে।
-ডিকে