নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য দেশে উৎপাদিত পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুয়েপমেন্ট (পিপিই) এবং সার্জিক্যাল মাস্কের (ফেস মাস্কসহ) উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেন। এর ফলে দেশে উৎপাতি পিপিই-মাস্কের দাম কমবে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে কভিড-১৯ টেস্ট কিটের আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করছি। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য দেশে উৎপাদিত পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুয়েপমেন্ট (পিপিই) এবং সার্জিক্যাল মাস্কের (ফেস মাস্কসহ) উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের জন্যও মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করছি।
তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ নিরোধক ওষুধের আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের মূসক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করছি। পাশাপাশি বৈশ্বিক এই দুর্যোগকালে জনগণের মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোবল অটুট রাখার স্বার্থে মেডিটেশন সেবার ওপর মূসক অব্যাহতি রাখার প্রস্তাব করছি।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে সংসদের অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এটি দেশের ৪৯তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট।
এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
-এফকে