করোনাঃ
দেশে ব্যাপক হারে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা সংক্রমণমুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন করা হবে।
গ্রিন জোনে সতর্কতা এবং ইয়েলো জোনে সংক্রমণ যেন আর না বাড়ে সেজন্য পদক্ষেপ থাকলেও রেড জোনে করোনার বিশেষ গাইডলাইন অনুযায়ী কঠোর হবে পুলিশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ ৭ জুন, রবিবার থেকেই কিছু জায়গা উপরোক্ত তিন জোনে বিভক্ত হয়ে নতুন করে লকডাউন শুরু হচ্ছে।
শনিবার (৬ জুন) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সর্বশেষ আপডেট করা তালিকায় ঢাকা মহানগরীর ১১টি এলাকাকে গ্রিন জোন চিহ্নিত করে ‘লকডাউন নয়‘ হিসেবে বলে দেখানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত রেড জোন চিহ্নিত করে ঢাকার কোনো এলাকাকে পুরোপুরি লকডাউন দেখানো হচ্ছে না।
গ্রিন জোনে থাকা ১১টি এলাকা হলো- উত্তরখান থানা, ক্যান্টনমেন্ট থানা, খিলগাঁও, তুরাগ, বনানী, ভাষানটেক, মতিঝিল, রামপুরা, রূপনগর, শাহবাগ ও শ্যামপুর থানা এলাকা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ আপডেটে গতকাল ৬ জুন, শনিবার রাত থেকে দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলা রেড জোন চিহ্নিত করে পুরোপুরি লকডাউন দেখানো হচ্ছে। আর পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে ইয়েলো জোন চিহ্নিত করে আংশিক লকডাউন দেখানো হচ্ছে। লকডাউনের বাইরে নিরাপদ জোন বা গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত আছে একটি জেলা ও ৭৫টি উপজেলা।