করোনা সংবাদঃ
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেশজুড়ে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে নতুনভাবে শতভাগ লকডাউন কার্যকর করতে যাচ্ছে সরকার।
আগামীকাল ৭ জুন, রবিবার থেকে কার্যকর হতে পারে এই লকডাউন পদ্ধতি। এরপর এ পদ্ধতির লকডাউন আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এলাকাভিত্তিক এ লকডাউন দেশের সকল স্থানে কার্যকর হবে।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। রাজধানীর যেসব এলাকায় করোনায় সংক্রমণ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে, সেসব এলাকায় বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে দু-একদিনের মধ্যেই এ লকডাউন কার্যকর হবে।
সংক্রমণের ভিত্তিতে এর আগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল রেড, গ্রিন ও ইয়েলো- এ তিন ভাগে বিভক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ইতোমধ্যে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ও মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। গতকাল ৫ জুন, শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬০ হাজার ৩৯১ জন। এদের মধ্যে ৮১১ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নতুন পদ্ধতির লকডাউন কার্যকরের ক্ষেত্রে রাজধানী ঢাকাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। দেশে মোট আক্রান্তদের মধ্যে ১৯ হাজার ৩২৭ জন ঢাকাতেই শনাক্ত হয়েছেন। রাজধানীর যেসব এলাকাগুলোতে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে সেসব এলাকা চিহ্নিত করার কাজ শেষের দিকে। এখন বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ওই এলাকাগুলো লকডাউন করে দেওয়া হবে। এরপরই একই পদ্ধতিতে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী রয়েছে সেসব এলাকা লকডাউন করা হবে।
এবারের লকডাউনে সর্বোচ্চ কড়াকড়ি আরোপ করা হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে। মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে রোগী চিহ্নিত করার পর যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি রোগীর অবস্থান শনাক্ত হবে সে এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা দিয়ে ওই এলাকা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পুরোপুরি লকডাউন করে দেওয়া হবে। লকডাউন করা ‘রেড জোন’ এর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কাউকেই ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।
একই পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হবে ইয়েলো ও গ্রিন জোন। এরপর প্রয়োজনে এই কড়া লকডাউনের আওতায় আসবে ‘ইয়েলো জোন’ও। তবে ‘ইয়েলো জোন’ থেকে খুব জরুরি প্রয়োজন পড়লে ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে ঢাকাসহ সারা দেশের বড় বড় শহর থেকে শুরু করে একেবারে গ্রাম পর্যন্ত প্রায় সব এলাকায় প্রতিদিন শনাক্ত হওয়া আক্রান্তদের মোবাইল নম্বর চিহ্নিত করে ওইসব এলাকার ম্যাপ তৈরি করছেন বিশেষজ্ঞ কমিটি। এভাবে রাজধানীর আক্রান্তদের অবস্থান শনাক্ত করার এ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন চলছে দেশের অন্যান্য এলাকায় তাদের অবস্থান চিহ্নিত করার কাজ।
-ডিকে