নতুন থানার প্রথম আসামী হলেন থানা ভবনের মালিক

অনলাইন ডেস্কঃ

রাজধানীর পূবাইলে আবদুর রশিদ নামে এক ব্যাক্তি তার নিজের নির্মিত ভবনটি থানার জন্য ভাড়া দেন। ভবনের মালিক হওয়ায় থানাটির হাজতখানাও তাকেই তৈরি করতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে পূবাইল থানার প্রথম আসামি হিসেবে তাকেই হাজতখানায় বন্দি হতে হলো।

সদ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে পূবাইল সহ আরও গাজীপুর মেট্রোপলিটনের (জিএমপি) আওতাভুক্ত সাতটি থানার উদ্বোধন করেন।

গত রোববার থানা উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনে ভবনটির সামনে দেয়ালে রং করার সময় ৩৩ হাজার ভোল্টেজের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান লক্ষ্মীপুরের রংমিস্ত্রি জাহাঙ্গীর।

এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীরের চাচা মো. মমিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। যার এক নম্বর আসামি হলেন থানা ভবন মালিক আবদুর রশিদ ও দুই নম্বর আসামি তার কেয়ারটেকার উজ্জ্বল।

মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে নিহত জাহাঙ্গীরের চাচা মমিনের সঙ্গে আপসে বিষয়টি মীমাংসা করার সময় পুলিশ আবদুর রশিদকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়। মামলার ২ নম্বর আসামি উজ্জ্বল পলাতক রয়েছেন।

এ ব্যাপারে পূবাইল থানা ওসি নাজমুল হক ভুঁইয়া জানান, ভবন মালিক আবদুর রশিদ হাসপাতালে নিহত জাহাঙ্গীরের চাচার সঙ্গে আপস বিষয়টি মীমাংসা করার সময় তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ থানার প্রথম মামলা এটি এবং ভবন মালিক মামলার ১ নম্বর আসামি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত রোববার থানা উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনে ভবনটির সামনে দেয়ালে রং করার সময় ৩৩ হাজার ভোল্টেজের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে মারা যান লক্ষ্মীপুরের রংমিস্ত্রি জাহাঙ্গীর।

এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীরের চাচা মো. মমিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। যার এক নম্বর আসামি হলেন থানা ভবন মালিক আবদুর রশিদ ও দুই নম্বর আসামি তার কেয়ারটেকার উজ্জ্বল।

থানা ভবনটি নির্মাণে গাফিলতি, নিয়মনীতি অমান্য করা, ঝুঁকিপূর্ণ ৩৩ হাজার ভোল্ট বৈদ্যুতিক তারের নিচে এবং পল্লীবিদ্যুৎ সাবস্টেশনঘেঁষে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস ও এলাকাবাসীর বাধা-নিষেধ তোয়াক্কা না করার অভিযোগে থানা ভবনের খোদ মালিক আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার প্রথম মামলাটি দায়ের হয়।

-ডিকে

FacebookTwitter