প্রশাসনঃ
বিএনপি আমলের অনেক প্রকল্পই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বাতিল করেছে; কিন্তু রয়ে গেছে শনিবারের ছুটি। সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম সাইফুর রহমান নানা যুক্তি দেখিয়ে সপ্তাহে দুই দিন ছুটির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার এই ফর্মুলায় সায় দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সেই থেকে শুরু হলো সপ্তাহে দু’দিন ছুটি।
তবে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ছুটি শেষে সরকারি অফিস খোলার পর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শনিবারের ছুটি বাতিল হতে পারে।
যদিও বিষয়টি এখনো চিন্তা-ভাবনার পর্যায়ে রয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হলেও যদিও ইতোমধ্যেই ছুটি আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হবে বলে বুধবার সংবাদমাধ্যমেগুলোতে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
শনিবার ছুটির বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এই পরিস্থিতিতেও আমরা আমাদের কাজটা করার চেষ্টা করছি। প্রয়োজনে এবং সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অনুমোদন দিলে এমনটা (শনিবার ছুটি বাতিল) হতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো সেভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে না।
এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারকে অনেক কিছুই ভাবতে হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারি ছুটির বিষয়টিও সামনে আসবে হয়তো।’
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘নাগরিকের জীবন ধারণের দিক বিবেচনা করেই সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হয়েছিল। অন্যদিকে আন্তর্জাতিকভাবে সাপ্তাহিক ছুটি রোববার। সঙ্গত কারণে কোনো না কোনোভাবে তিনদিনের ছুটির কবলে পড়তে হয় আমাদের। আবার করোনা পরিস্থিতিতে অনির্ধারিত ছুটির মধ্যে রয়েছি আমরা। আরো কতদিন এমন অবস্থা থাকবে তা, বলা মুশকিল। সুতরাং করোনার প্রভাব কেটে গেলে সরকারি ছুটি কমানো নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে।
দেশের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে আমাদেরকে ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে। অন্তত একটি সময়সীমা ধরে ছুটির ব্যাপারে ভেবে চলমান ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হবে।’