মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ
সরকার চিকিৎসক সমাজের মুখে “তালাচাবি” দেয়ার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নিজেদের অন্তর্নিহিত হীনমন্যতাকে আরও খোলাসা করে দিলো।স্বার্থান্ধ গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রীকে ঢাল তলোয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। চিকিৎসক সমাজের বাক স্বাধীনতা হরণ করে সরকারের চরিত্রের কদর্যতা বেরিয়ে এসেছে। নেত্রীর কাছে সঠিক তথ্য যাতে না পৌঁছে, তার সব ব্যবস্থা করে রেখেছে স্বার্থান্ধ গোষ্ঠী। তারা এটাই চেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ভন্ডামি কপটতা দিয়ে কবজা করে ফেলেছে। কেন এই কালো আইন জারি করা হয়েছে? নষ্ট গোষ্ঠী নেত্রীকে ভিমরুলের মত ঘিরে রেখেছে । নেত্রীর সফলতাকে ব্যর্থ করে দেয়ার তালিকা বানিয়ে ফেলেছে ক্ষমতার বিভিন্ন স্তরে লুকিয়ে থাকা দুর্বৃত্ত চক্রটি। চিকিৎসকদের উপর না ক্ষেপে নেত্রীর উচিত তাঁর সহনশীলতা দূরদর্শিতা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা। আদেশকৃত প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করে নিন। চিকিৎসক সমাজকে “একঘরে” করে দিলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হবে।
দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক নাম গোপন রাখার শর্তে বলেছেন, “সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারছে না। ভেতরে ভেতরে করোনা অনেকদূর ছড়িয়ে গেছে।
প্রতিদিন ধাই ধাই করে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। করোনা টেস্ট করার পর্যাপ্ত কিটের অভাব। মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেনা।
তথাকথিত সর্দি কাশির (!!) জেরে টুপটাপ করে মানুষ মারা যাচ্ছে। আমরা অনেককিছু দেখছি কিন্তু মুখ খোলার উপায় নাই। আমাদের পরিবার পরিজন আছে। আমরা হিংস্রতা জিঘাংসার শিকার হতে চাইনা…………!”
দেশের চিকিৎসা সেক্টরের চেইন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। সামনে হয়ত বিপদজনক পরিণতি অপেক্ষা করছে। তেলবাজ ও পদলেহনকারী চিকিৎসকদের বিশাল একটা গ্রুপ আছে। এরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে জড়িত। এসব চিকিৎসক নামের চামচারা তাদের জিহবা দিয়ে চেটে মন্ত্রীদের জুতোর ময়লা পরিস্কার করে দিচ্ছে। এদের কোনো Ideology নেই। তারা কেবল সরকারের ‘হ্যাঁ’ ”না’ এর সাথে সুর মেলায়।
-ডিকে