স্বাস্থ্যঃ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের যে পরিস্থিতি দেখে এতোদিন সুস্থ বলা হয়েছিলো তা পরিবর্তন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে এক লাফে একদিনে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেড়ে গেছে সহস্রাধিক।
গতকাল পর্যন্ত যেখানে ১৭৭ জনকে সুস্থ বলা হয়েছে, সেখানে আজ বলা হচ্ছে ১০৬৩ জন। এতে একদিনে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬ গুণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, এখন থেকে কারা সুস্থ হবে সে বিষয়ে বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির দেয়া একটি নতুন গাইডলাইন অনুসরণ করা হয়েছে।
৩ মে, রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের নতুন যে ক্লিনিক্যাল ম্যনেজমেন্ট কমিটি আছে তারা নতুন একটি গাইডলাইন করেছে, আমরা কিভাবে রোগীদের সুস্থ বলতে পারবো বা তারা হাসপাতাল ত্যাগ করতে পরবেন কী কী ক্রাইটেরিয়াতে। এই ক্রাইটেরিয়াতে আমরা আজকে বলবো যে, আমাদের এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন যারা, তাদের সংখ্যা হলো ১০৬৩ জন।’
এর মধ্যে ঢাকা সিটির হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬২৪ জন। এবং বিভাগীয় হাসপাতালগুলো থেকে ছাড়া হয়েছে ৪৩৯ জন।
আমি যদি প্রত্যেকটাকে ডিভিশন অনুযায়ী আলাদা করে বলি, তাহলে ঢাকা ডিভিশনে মেট্রোপলিটন হাসপাতাল বাদে অন্যান্য গুলো থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৭২ জন, চট্টগ্রাম ডিভিশন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭২ জন। রাজশাহী থেকে ২ জন। খুলনা থেকে ৬ জন, বরিশাল ডিভিশান থেকে ২৯ জন, সিলেট থেকে ২ জন, ময়মনসিংহ ডিভিশন থেকে ৩১ জন এবং রংপুর ডিভিশনের হাসপাতাল গুলো থেকে ২৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৬৫ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৪৫৫ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫৩৬৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৬৫ জন।
এদিকে বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ডা. এম এ ফয়েজ জানিয়েছেন, আগের গাইডলাইন অনুযায়ী কারো মধ্যে যদি করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হতো তাহলে তার ১৪-২১ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট করা হতো।
সেখানে ফলাফল নেগেটিভ আসলে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অথবা দুই তিনদিনের মধ্যে আরেকটি টেস্ট করা হতো। সেখানেও ফলাফল নেগেটিভ আসলে রোগীকে সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হতো। এবং বলা হতো তারা যেন আরো ১৪ দিন বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকেন।
তবে নতুন নিয়মে রোগী যদি ক্লিনিক্যালি সুস্থ হয়ে ওঠেন অর্থাৎ পর পর তিন দিন যদি তার আর জ্বর না থাকে, কাশি বা শ্বাসকষ্ট না হয় তাহলে তাকে হাসপাতালে না রেখে বাড়িতে ১৪ দিনের আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
বাড়ি থেকেই তার পরবর্তী দুটো পরীক্ষা করা হবে। যেটা কিনা আগে হাসপাতালে থেকে করা লাগতো।
হাসাপাতালে রোগীর চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
-কেএম