আমেরিকা ও চীনের মধ্যে নীরব দ্বন্দ্ব বহুদিনের। এই দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পেয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর। আমেরিকায় ভাইরাসটি ছড়াতে শুরু করার পর থেকেই চীনকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হুমকি দিচ্ছেন বারবার। বলছেন, চীন চাইলে দেশের মধ্যেই সংক্রমণ আটকে রাখতে পারত।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার করোনা সংকটে বেইজিংয়ের ওপর আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিতে চীনকে নতুন শুল্ক দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে বলেছেন, তিনি উহানের একটি ল্যাবকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন।
এদিকে, গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের চাকরি চলে গেছে। যদিও এ পর্যায়ে লকডাউন ব্যবস্থা শিথিল হতে যাচ্ছে দেশটিতে।
এছাড়া আগামীতে এই সংকট ঘিরে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ও এই অঞ্চলজুড়েই থাকবে বলে সন্ধান করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা এও বলেছেন, ইউরোপে এক নজিরবিহীন আর্থিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে অনেক আগে থেকেই।
এর আগেও হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে উচ্চমাত্রার আত্মবিশ্বাস দেওয়ার মতো কিছু পেয়েছেন কি না, ট্রাম্পকে এমন প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি আপনাদের এটি বলতে পারি।
তিনি এও বলেছিলেন, কীভাবে ভাইরাস ছড়িয়েছে, তা নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছি। আমরা সিরিয়াসলি তদন্ত শুরু করেছি। চীনকে কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হবে।
এফ. কে.