ডেস্ক রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চলা লকডাউন শিথিল করার পক্ষে মত জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে সীমিত আকারে শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া যায়। তবে তা সঠিক নিয়মে ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক রেখে করতে হবে।’
২৯ এপ্রিল, বুধবার ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় নির্মিত অস্থায়ী হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এই মত প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
করোনাভাইরাসের রোগী বেড়ে যাওয়ার মধ্যে বাংলাদেশে অন্যতম বড় শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা তাদের কনভেনশন সেন্টারকে অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছে।
লকডাউনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের উদাহরণ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বহু দেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড তো লকডাউন তুলে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করে দিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আমরাও সামনেই স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাব।’
ছোঁয়াচে কোভিড-১৯ রোগের কোনো ওষুধ কিংবা টিকা না থাকায় সংক্রমণ এড়ানোই একমাত্র পথ। সে কারণে জনসমাগম এড়াতে প্রায় সব দেশই লকডাউন ঘোষণা করে। তবে সংক্রমণের হার কমে আসার পর বিভিন্ন দেশ এখন বিধি-নিষেধ তুলে নিচ্ছে।
বাংলাদেশে গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয় সরকার। এক মাস পর গত রবিবার থেকে কিছু তৈরি পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে, দোকান খোলার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে।
তবে বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখনই বেশি বাড়ছে। বুধবার সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬৪১ জনের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে, একদিনে এত রোগী আগে শনাক্ত হয়নি। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
-এফকে