অনলাইনঃ
স্বয়ংক্রিয় আদান-প্রদানের মাধ্যমে হওয়া বিপণন প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক নাম হলো ই-কমার্স, বর্তমানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যার গুরুত্ব ও চাহিদা দুটোই বেড়ে গেছে বহুগুণে।
সেইসাথে বেড়েছে দায়িত্বশীল ই-কমার্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল আচরণের গুরুত্ব। এক্ষেত্রে দেশের বেশকিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, যার মধ্যে ইভ্যালি অন্যতম।
করোনা মোকাবেলায় সতর্কতার অংশ হিসেবে সবাইকে নিজ নিজ বাসা বাড়িতে অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বলা হচ্ছে, সেলফ বা হোম কোয়ারেন্টিনের মাধ্যমে প্রাণঘাতি কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ করা সম্ভব।
এমন প্রেক্ষাপটে গ্রাহকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিবেচনা করে বাড়ি বাড়ি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে ইভ্যালির এক্সপ্রেস শপ সেবাটি।
ইভ্যালি এক্সপ্রেস শপের তিনটি কর্ণার- ইভ্যালি এক্সপ্রেস ফিশ অ্যান্ড মিট, ইভ্যালি এক্সপ্রেস ফার্মেসি ও ইভ্যালি এক্সপ্রেস গ্রোসারিতে গ্রাহক তার সব প্রয়োজনীয় পণ্য অর্ডার করতে পারছেন। গ্রাহকের অর্ডার করা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সর্বনিম্ন এক ঘণ্টা থেকে ক্ষেত্র বিশেষে সর্বোচ্চ ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে।
যাত্রা শুরুর দিকে সরবরাহের সময় নিয়ে গ্রাহকদের কিছু অভিযোগ থাকলেও সময়ের সাথে সাথে সেই অভিযোগ তুলনামূলকভাবে খুবই কম।
সর্বনিম্ন এক ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য গ্রাহকদের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইভ্যালির এক্সপ্রেস শপে এখন বেশিরভাগ পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। আর এমন সেবায় বেশ সন্তুষ্ট ক্রেতারা।
১৮ লক্ষাধিক গ্রাহক ও প্রায় ২০ হাজার বিক্রেতা বা সেলারের প্ল্যাটফর্মটি শুধু যে গ্রাহকের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে তা নয়, একই সাথে বিক্রেতার স্বার্থও বিবেচনায় রেখেছে। বাজার মূল্যের বিবেচনায় পণ্যের দাম ইভ্যালি নির্ধারণ করে দিচ্ছে যা কোনভাবেই বাজার মূল্য থেকে বেশি হবে না। সকল পণ্যের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেলারের উপর। সেলারদের সব ধরনের কারিগরি সহায়তা যেমন প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার এবং অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে সেলারদের উৎসাহিত করতে তাদের মোট অর্ডারের ওপর ৫ শতাংশ হারে বোনাসও দেওয়া হচ্ছে।
এসব নিয়মিত কাজের বাইরে এই সংকটের সময়ে দেশের মানুশের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে একটি সামাজিক উদ্যোগের সাথে, কাজ করছে মানবতার তরে। এ প্রসঙ্গে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, “করোনা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের মানবিক দায়িত্ব। সে লক্ষ্যেই সম্পূর্ণ অলাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক উদ্যোগ এবং সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘এসো সবাই’-এর সাথে যুক্ত হয়েছি। আমি মনে করি, করোনা যুদ্ধের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারিভাবে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও বেসরকারি খাতকেও এসময় সমানভাবে এগিয়ে আসা উচিত।”
উল্লেখ্য ‘এসো সবাই’ দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং একান্ত ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা থেকে কয়েকজন কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব এক হয়ে নেওয়া একটি সামাজিক উদ্যোগ। এর মাধ্যমে আগ্রহীদের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করে তা সমাজের অসহায় ও ভুক্তভোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে।
-শিশির