আন্তর্জাতিকঃ
কানাডায় এক বন্দুকধারীর গুলিতে পুলিশের এক নারী কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় ১৯ এপ্রিল, রবিবার দেশটির নোভা স্কটিয়া প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পোর্টেপিকে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।
পরে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন বলে আজ ২০ এপ্রিল সোমবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে।
সংবাদে জানা যায়, প্রদেশটির রাজধানী হ্যালিফেক্সের প্রায় একশ’ কিলোমিটার উত্তরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত পোর্টাপিক শহরে হামলা চালায় গ্যাব্রিয়েল ওর্টম্যান (৫১) নামের ওই বন্দুকধারী।
তিনি আরসিএমপির (রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ) ইউনিফর্ম পরে, পুলিশের গাড়িসদৃশ একটি গাড়িতে চড়ে এ হামলা চালান। প্রথমে ওর্টম্যান একটি বাড়িতে ঢুকে গুলি করে কয়েকজনকে হত্যা করেন। এরপর আরো কয়েকটি স্থানে এলোপাতাড়ি গুলি চালান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ১২ ঘণ্টা ধরে ত্রাস সৃষ্টির পর পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হন।
নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। হামলার পর এক টুইট বার্তায় নোভা স্কটিয়া পুলিশ জানায়, গাড়িটির পেছনের দিকে যাত্রী বসার জানালার ওপরদিকে লেখা ছিল ২৮বি১১। অথচ আরসিএমপির গাড়ির নম্বরপ্লেটে হ্যাশ চিহ্ন রয়েছে, যা হামলাকারীর গাড়িতে ছিল না। ২৮বি১১ নম্বরের গাড়ি দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে ৯১১ নম্বরে কল করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
বিরল এ হামলার এ ঘটনাকে ভয়াবহ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
আর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (প্রিমিয়ার) স্টিফেন ম্যাকনেইল বলেছেন, ‘এটি আমাদের প্রদেশের ইতিহাসে অন্যতম একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন সংঘাতের ঘটনা।’
এখনো ওই ব্যক্তির হামলার কারণ জানা যায়নি। বিগত ৩০ বছরের মধ্যে কানাডায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। দেশটিতে গণহারে এভাবে গুলির ঘটনা একেবারেই বিরল। এছাড়া দেশটির বন্দুক আইন প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকেও অধিক কড়া।
এর আগে ১৯৮৯ সালে কুইবেকে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক বন্দুকধারীর গুলিতে ১৪ জন নারী নিহত হন। আর সর্বশেষ ২০১৯ সালে অপর এক বন্দুকধারী তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে।
-এসকে