চাল চুরি, আত্মসাৎ,কালোবাজারি’র কাউকে ছাড় দেয়া হবে নাঃ খাদ্যমন্ত্রী

চাল চুরি, আত্মসাৎ,কালোবাজারি
চাল চুরি, আত্মসাৎ,কালোবাজারি

অনলাইনঃ
ওএমএসের চাল কালোবাজারিদের কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে লিখিত এক চিঠিতে তিনি এই নির্দেশনা দেন তিনি। কিছুক্ষণ আগে এই চিঠির কপি সকল পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন ও বেকার হয়ে পড়া দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, দিন আনে দিন খায়, কারখানার শ্রমিক, হোটেল রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের জন্য সরকার দশ টাকা কেজি দরে সারাদেশে বিভাগীয় শহর জেলা শহর এবং পৌরসভা গুলোতে ওএমএস কার্যক্রম শুরু করেছে। এই কার্যক্রমের চাল ভোক্তাদের হাতে না দিয়ে একশ্রেণির লোক কালোবাজারি করছে এবং চুরি করছে। যা সরকারের এই কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদপত্রে ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে দেয়া বক্তব্যে একাধিকবার বলেছেন, যারা ওএমএসের চাল চুরি আত্মসাৎ কিম্বা কালোবাজারির সাথে জড়িত থাকবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

ইতিমধ্যে এ বিষয়ে দেশের সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

এই অবস্থায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে সারাদেশের পুলিশ সুপারদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে যে, যারা বা যেসব ব্যক্তি ১০ টাকা কেজি দরের ওএমএসের চাল কালোবাজারি ও চুরির সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

এদিকে, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে লেখা অপর একটি চিঠিতে খাদ্য সচিব ড. মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম ওএমএস, বিশেষ ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ভিজিডির চাল আত্মসাৎ কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

সচিব তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ওএমএস এর চাল বিভিন্ন ডিলার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও গোডাউন সহ তাদের সাথে জড়িত স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের ধারা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক স্থানে স্থানীয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় আত্মসাৎকৃত চাল জব্দ করে মামলা করেছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়সহ সর্বমহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

খাদ্য সচিব চিঠিতে আরো উল্লেখ করেছেন যে, এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত কিংবা পরিকল্পিত চাল আত্মসাতের ঘটনা তাদের নজরে এলে তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত ডিলারের জামানত বাজেয়াপ্ত এবং ডিলারশিপ বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। প্রয়োজনে কোন এলাকার সকল ডিলারশিপ বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগ দেয়া কিংবা জেলা প্রশাসকগণ তাদের বিবেচনায় দক্ষ, যোগ্য ও সৎ ব্যক্তি ডিনার হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন।

-ডিকে

FacebookTwitter