আন্তর্জাতিকঃ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে দেশটিতে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ২৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১৭ হাজার ৬৬০ জন। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দেশটিতে কভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর একদিনে এত মৃত্যু আগে হয়নি বলে জানায় ইতালিয়ান সিভিল প্রোটেকশন এজেন্সি।
চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে এই ভাইরাসটি ছাড়িয়ে পড়ে। সেই হুবেইতে আক্রান্ত বা মৃতের সংখ্যা দিনে দিনে কমে আসছে। গত শুক্রবার ১৩ জন মারা যায় এবং ১১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়। আক্রান্তের চারজন হুবেই প্রদেশের এবং যে ১৩ জন মারা গেছেন তারাও একই প্রদেশের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সর্বশেষ খবরে জানায়, শুক্রবার পর্যন্ত পৃথিবীজুড়ে ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ৪ হাজার ৯৫৫ জন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের সূত্র উল্লেখ করে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০০ জন।
প্রসঙ্গত, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে চিকিৎসা নিলেই এই রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি মোড় নিতে পারে নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি ফেইলিউর বা কিডনি অকার্যকারিতার দিকে। এ ভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। অনেকের ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে।
শুরুতে জ্বর হয়, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস।
তাই যতটা সম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে এবং ঘন ঘন হাত ধুতে হবে। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। মাস্কের অবশ্য বাধ্যবাধকতা নেই। ডাক্তাররা জানান, আক্রান্ত রোগী এবং তার যারা সেবা করছেন তাদেরই মূলত মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
-কেএম