আন্তর্জাতিকঃ
করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত ৫২ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৬ জন। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এমন তথ্য নিশ্চিত করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ‘কোভিড-১৯ দিনে দিনে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে। দ্রুতই তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। অনেক রোগীর মধ্যে কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু তাদের মাধ্যমেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে।’
করোনাভাইরাস মূলত শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সংক্রমণ। মৃতদের অধিকাংশই বয়স্ক যাদের আগে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতা ছিলো। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে কিছুদিন পর এই রোগ এমনিতেই সেরে যেতে পারে।
তবে আগে থেকেই যাদের ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি মোড় নিতে পারে নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি ফেইলিউর বা কিডনি অকার্যকারিতার দিকে। যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা দেখা দিবে। অনেকের ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতোই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে দেশটির হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীরা এখনো পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারেননি।
-কেএম