শিল্প ও সাহিত্যঃঃ
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে শুরু হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার বিশিষ্ট শিল্পীদের অংশগ্রহনে সপ্তাহব্যাপি (২২-২৮ ফেব্রুয়ারি) ‘মুজিব শতবর্ষ’ শীর্ষক এক চিত্রকলা প্রদর্শনী।
এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। সোসাইটি ফর প্রমোশন অব বাংলাদেশ আর্ট (এসপিবিএ)। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মোট ১৮ জন শিল্পীর ৭২টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। এই প্রদর্শনীর একটি অংশে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্ণার। সেখানে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তি, স্কেচ, ও পেইন্টিং প্রদর্শিত হচ্ছে- যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এই প্রদর্শনীতে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের শিল্পীদের আঁকা চিত্রকর্মে প্রতিফলিত হয়েছে দুই দেশের শিল্পীদের নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সাধারণ মানুষদের জীবন-যাপনের অভিব্যাক্তি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. এম. আব্দুল মোমেন বলেন, এসপিবিএ আয়ােজিত ‘মুজিব শতবর্ষ প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করতে পেরে আমি আনন্দিত। এই প্রর্দশনী দুই দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করবে ।
হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাসে, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে যুগে যুগে শিল্পী সাহিত্যকেরা ধারণ করেছেন । তিনি শিল্পীদেরকে অভিনন্দন জানান এবং প্রদর্শনীর সফলতা কামনা করেন।
সম্মানিত অতিথি সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে এই প্রদর্শনী একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে, কারণ এই প্রদর্শনীটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশের শিল্পীদের নান্দনিক প্রকাশ তাঁদের শিল্পকর্মে উঠে এসেছে এবং এই সাংস্কৃতিক সেতু আরো সুদৃঢ় হবে ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং খ্যাতিমান শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা এই প্রদর্শনী সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমি অঞ্জন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাই- এই ধরণের আয়োজন ভবিষ্যত প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে, স্বাধীনতা ইতিহাস। ঐতিহ্যকে তারা লালন করবে। তিনি ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক এসপিবিএ-র চেয়ারম্যান জনাব অঞ্জন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ- শ্রীলংকার দুই দেশের শিল্পীদের প্রদর্শনী ও আর্টক্যাম্প করতে পেরে আনন্দিত।
এই প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার ৪ জন বিশিষ্ট শিল্পী ঢাকা এসেছে, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা শিল্পীদের একটি যোগসূত্র তৈরি হলো এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে । তা আরো সুদৃঢ় হবে বলেই বিশ্বাস করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতির প্রতি এই প্রদর্শনী উৎসর্গ করতে পেরে ভালো লাগছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত বাঙালি শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আজ বিকশিত, প্রস্ফুটিত। কারণ জাতির পিতার হাত ধরেই দেশের সাহিত্য ও শিল্পকলায় নবধারা রচিত হয় ।
-শিশির