ডাকসু নির্বাচনে আর অংশ নেবেন না ভিপি নুর

ডাকসু নির্বাচনে আর অংশ নেবেন না ভিপি নুর
ডাকসু নির্বাচনে আর অংশ নেবেন না ভিপি নুর

অনলাইনঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ৩৬৫ দিন।

২০১৯ সালের ২৩ মার্চ দায়িত্ব নেওয়া বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হতে বাকি আর মাত্র ৩৬ দিন। ফের নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বেছে নেবেন ঢাবির শিক্ষার্থীরা।

এ দিকে আগামী ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন বর্তমান ভিপি নুরুল হক নুর। একই সঙ্গে জানালেন, আগামী নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী হিসেবে তার পছন্দের নাম।

প্রায় ৩০ বছর পর ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ছাত্রদের সরাসরি ভোটে ডাকসুর নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়। ভিপি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাদে সব পদে জয় পায় ছাত্রলীগ। এ দুই পদে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা নুরুল হক ও আখতার হোসেন জয়ী হন।

নির্বাচন না করার কারণ হিসেবে ছাত্রলীগের হাতে বারবার মার খাওয়া এই ছাত্রনেতা বলেন, আমি ডাকসুতে নতুন নেতৃত্ব দেখতে চাই। আমি চাই নতুন কেউ এই পদে আসুক। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে ছাত্র সংসদের সবচেয়ে বড় পদে আমি নির্বাচন করে জয়ী হয়েছি। তাই আবার একই পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা আমার নেই। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ছাত্ররা ভোট দিয়ে আমাকে ভিপি নির্বাচিত করেছেন। আমি চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাঁড়াতে। আমি ভিপি হওয়ার আগেও সাধারণ ছাত্রদের দাবির প্রতি সোচ্চার ছিলাম, ভিপি হওয়ার পরও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্যানেল সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে ভিপি পদে জয়ী হয়েছিলেন নুর। এবারও এই প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানান তিনি।

এবার ভিপি পদে কে নির্বাচন করবেন—এ বিষয়ে ভিপি নুর বলেন, এ বিষয়ে এখনো আমাদের সিদ্ধান্ত হয়নি। সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণে অনেক কার্যকর নেতৃত্ব রয়েছে। তাদের মধ্য থেকেই একজন ভিপি পদে নির্বাচন করবেন।

সে ক্ষেত্রে কে এগিয়ে রয়েছেন—এমন প্রশ্নে নুর বলেন, আমাদের সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন রয়েছেন, তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন করবেন। তিনি আরও বলেন, রাশেদ ও ফারুকসহ অনেকে আছেন তাদের মধ্য থেকে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নেতৃত্ব বেছে নেবেন।

মেয়াদ শেষ হলেই নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা। তবে এবার ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না প্রশাসনে। ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যেও তেমন তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না।

ভিপি পদে বিজয়ী নুরুল হক কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে নির্বাচন করেন।

গত নির্বাচনে ভিপি নুর ১৯৩৩ ভোটের ব্যবধানে হারান তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভনকে, পরে যিনি ছাত্রলীগ থেকে পদচ্যুত হন।

ভিপি পদে নুরুল হক পান ১১ হাজার ৬২ ভোট। ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক শোভন পান ৯ হাজার ১২৯ ভোট। ওই নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪৩ হাজার ২৫৫ জন। ভোট পড়ে ২৫ হাজারের কিছু বেশি।

গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হলেও এবার আর নির্বাচন করবেন না ভিপি নুর। নিয়মানুযায়ী তার আবার নির্বাচন করার সুযোগ আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের নিয়মিত মাস্টার্সের এই ছাত্রের বয়স মাত্র ২৫ বছর।

-কেএম

FacebookTwitter