রাবি প্রতিনিধিঃ
বন্ধ হচ্ছে না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের অধীনে চলমান সান্ধ্যকোর্স।
এমনটিই জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকোর্স থাকা, না থাকার যৌক্তিকতা যাচাইয়ে গঠিত কমিটির সদস্যরা।
যৌক্তিকতা যাচাই কমিটির সদস্য ও কৃষি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সালেহা জেসমিন বলেন, গঠিত কমিটি এরই মধ্যে ২ টি সভায় বসেছেন। সভায় পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথা হয়েছে। তবে যেটুকু সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে হঠাৎ করেই সান্ধ্যকোর্স বন্ধ করা যাচ্ছে না। আস্তে আস্তে বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চলতি শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এমনটি হতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি যৌক্তিকতা যাচাই কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে সান্ধ্যকোর্সের বিষয়ে চূড়ান্ত সুপারিশমালা তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে।
কমিটির আহবায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, অধিকাংশ সদস্য যে মতামত দিবেন তার ভিত্তিতে সুপারিশ মালা তৈরি করা হবে। প্রাথমিক যে আলোচনা তাতে সান্ধ্যকোর্স চালু থাকার পক্ষেই সুপারিশ দিতে হবে আমাদের। সেই সুপারিশ শিক্ষা পরিষদের সভায় পেশ করব আমরা। শিক্ষা পরিষদের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিবেন আদতে সান্ধ্যকোর্স বন্ধ হবে কিনা। যদি শিক্ষা পরিষদ মনে করেন সান্ধ্যকোর্স বন্ধ হওয়া দরকার। তাহলেই বন্ধ হবে।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর ইউজিসির পক্ষ থেকে সান্ধ্যকোর্স বন্ধসহ ১৩ টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫১ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহাকে আহ্বায়ক করে ১০ জন ডীনকে নিয়ে যৌক্তিকতা যাচাই কমিটি গঠন করা হয়। যৌক্তিকতা যাচাই কমিটি গঠনের পরও থেমে নেই সান্ধ্যকোর্সে ভর্তি।
বিশ^বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বান্ধ্যকালীন ¯œাতকোত্তর কোর্স চালু আছে ১৪ টি বিভাগে ও তিনটি ইনস্টিটিউটে। আইন অনুষদের আইন বিভাগে, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, মার্কেটিং, ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগে, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট, প্রকৌশল অনুষদে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, বিজ্ঞান অনুষদের পরিসংখ্যান বিভাগে।
এছাড়াও ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব ইংলিশ এন্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজেজ সান্ধ্যকোর্স পরিচালনা করছে।
এছাড়া ভর্তিতে অসচ্ছতা, পরীক্ষায় ছাড়, নকল নির্ভর পরীক্ষা, দেওয়া হয় উপস্থিতির ছাড়ও। আর এ নিয়ে খোদ শিক্ষকদের মধ্যেই গ্রুপিং। নিয়মিত কোর্সের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সান্ধ্যকোর্স ও তাদের রেজাল্টেও তফাত ঢের।
-এসএম