খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দিতে সরকার আন্তরিকঃ তথ্যমন্ত্রী

খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দিতে সরকার আন্তরিকঃ তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দিতে সরকার আন্তরিকঃ তথ্যমন্ত্রী

অনলাইনঃ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, নিয়মিত তার (খালেদা) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন।
তথ্যমন্ত্রী আজ বিশ্ব বেতার দিবস-২০২০ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত র‌্যালী উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার প্যারোলে তার মুক্তি চায়। কিন্তু, বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের কোন দাবি এখনো পর্যন্ত উপস্থাপন করা হয়নি। এমন কি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান।

তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে কারাগারে না রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাকে তার পছন্দের গৃহ পরিচারিকাকে সাথে রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, সমগ্র ভারত উপমহাদেশে এ ধরনের কোন নজির রয়েছে কি না আমার জানা নেই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার যেসব শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তা অনেক পুরনো সমস্যা। এসব সমস্যা নিয়েই তিনি দুই বার প্রধানমন্ত্রী এবং দুই বার বিরোধী দলের নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে সব সময় তার স্বাস্থ্য সমস্যাকে ফুঁলিয়ে-ফাঁপিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হয়। এখন যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, সেটি তারই ধারাবাহিকতা। তিনি দেশে দুইবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং একটি বৃহৎ দলের নেত্রী। তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিতে সরকার আন্তরিক।

এ সময় তথ্য সচিব কামরুন নাহার ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
বেতার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রকৃত পক্ষে বেতার হচ্ছে এমন একটি গণমাধ্যম যা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। বঙ্গোপসাগরে মাঝি-মাল্লারা বেতারের মাধ্যমে দুর্যোগ-দুর্বিপাকের বার্তা পায়। এছাড়াও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথেও জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ বেতার।

মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হান্নান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। পুরো নয় মাস জুড়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু। বেতারের গান, খবর ও অনুষ্ঠানমালা শুনে তারা উজ্জীবিত হতো। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাংলাদেশ বেতারের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

পরে মন্ত্রী বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব কামরুন নাহার। বেতারের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ কামরুজ্জামান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

-বাসস

FacebookTwitter