অনলাইনঃ
‘দুর্নীতির ধারণা সূচকে ২০১৮ সালের তুলনায় এক ধাপ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার সারা বিশ্বে একযোগে দুর্নীতির ধারণাসূচক-২০১৯ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই)।
আজ সকাল ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এবার বাংলাদেশের অবস্থান নিচের দিক থেকে ১৪তম এবং উপরের দিক থেকে ১৬৬।
স্কোর গতবারের মতোই ২৬। আর সূচকে গত বছর নিচের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩তম। ধারণা সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের অবস্থা তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনটি তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতির ক্রমানুসারে আমরা এক ধাপ উন্নতি করলেও আমাদের স্কোর বাড়েনি। স্কোরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্য কেউ হয়তো বেশি খারাপ করেছে, তাই আমরা এক ধাপ এগিয়েছি। এতে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, গত বছর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সময় মানুষের মধ্যে একটি প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এটা কতটা বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েই গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগে এসেছে।
সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হয়েছে আফগানিস্তান। উপরের দিক থেকে তাদের অবস্থান ১৭৩। দক্ষিণ এশিয়ায় এরপরেই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান।
দক্ষিণ এশিয়া সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভুটান। উপরের দিক থেকে তাদের অবস্থান ২৫। স্কোর ৬৮। আর উপরের দিক থেকে ভারতের অবস্থান ৮০ (স্কোর ৪১) ও পাকিস্তানের অবস্থান ১২০ (স্কোর ৩২)।
সূচকে বিশ্বের সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হয়েছে ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ড (স্কোর ৮৭)। তাদের পরেই রয়েছে ফিনল্যান্ড (স্কোর ৮৬)। ৮৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে সিঙ্গাপুর, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড। আর ৯ স্কোর নিয়ে সবার নিচে রয়েছে সোমালিয়া।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল,টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) প্রফেসর ড. সুমাইয়া খায়ের , পরিচালক (আউটরিচ কমিউনিকেশন) শেখ মঞ্জুর ই আলম প্রমুখ।
-ডিকে