২৯০ জন ওএসডি
প্রশাসনঃ
প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের ২৯০ জন ওএসডি হিসেবে কর্মরত আছেন। আর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সংযুক্ত সংস্থায় চুক্তিভিক্তিক নিয়োগে আছেন ১৭৭ জন।
এছাড়া এই মুহূর্তে দেশে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৪৮ পদ শূন্য রয়েছে। রোববার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
বিএনপি’র সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, সরকারি কর্মকর্তাগণকে দাপ্তরিক বিভিন্ন কারণে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে পদায়ন করা হয়। জনস্বার্থে যে কোনো কর্মকর্তার ক্ষেত্রেই এটি একটি নিয়মিত পদায়ন হিসেবেই বিবেচিত হয়। সাধারণত উচ্চতর পদে পদোন্নতির পর উচ্চশিক্ষা, প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য বা অংশগ্রহণ শেষে ফেরত আসা, অবসরোত্তর ছুটি পিআরএলসহ বিশেষ কিছু কারণে কর্মকর্তাগণকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে প্রদান করা হয়।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানের সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৪৮ পদ শূন্য আছে।
শূন্যপদ পূরণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার পদ সমূহে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়মিত নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭ তম বিসিএস এর মাধ্যমে এক হাজার ২৪৮ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ক্যাডারে এবং ৩৯ তম বিসিএস এর মাধ্যমে ৪ হাজার ৬১২ জনকে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দেয়া হয়। সর্বমোট ৫ হাজার ৮৫৯ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয় বলে জানান তিনি।
এছাড়া ৪০তম বিসিএস এর মাধ্যমে এক হাজার ৯১৯টি বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্যপদে নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ২০১৯ সালের পহেলা অক্টোবর থেকে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ কার্যকর করা হয়েছে।
আইনের আওতায় প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা ১২ লাখ ১৭ হাজার ৬২ জন।
-ডিকে