কূটনৈতিকঃ
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকসহ সার্বিকভাবে অনেক শক্তিশালী দেশ, যা গত ২০-২৫ বছরে ছিল না।
বিশ্ব এখন বাংলাদেশের কাছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব আশা করে বা অনেক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকে। সে কারণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিকে আরো শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
১ জানুয়ারি, বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন সদ্য যোগ দেয়া পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এর আগে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ‘ডিক্যাব’ নতুন পররাষ্ট্র সচিবকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।
মাসুদ বিন মোমেন জানান, নতুন বছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেবে তা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ২০২০ সালের করণীয় বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
ওই বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘সারাবিশ্বে বাংলাদেশের এখন যে অবস্থান, তা আজ থেকে ২০ বছর আগের মতো না। আমরা এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পর্যায় পার করেছি।
বিশ্ব আমাদের কাছ থেকে এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব চায়, বা অনেক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের জন্য আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। সে কারণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিকে আরও ঢেলে সাজানো বা শক্তিশালী করার বিষয় রয়েছে।’
এই বছরে অনেকগুলো উল্লেখ করার মতো বড় বড় ইভেন্ট আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী মে বা এই সময়ের মধ্যে ডি-৮ সামিট এছাড়াও বিমসটেক সামিট এবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এই দুইটা বড় বৈশ্বিক অনুষ্ঠান।’
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন আরো বলেন, ‘আগামী ১৭ মার্চ জাতি জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে বিশেষ করে যে সকল দেশে বাংলাদেশের মিশন রয়েছে সেখানে বছরব্যাপী একাধিক অনুষ্ঠান হবে। এই বিষয়গুলোকে আরো কীভাবে গতিশীল করা যায়, ওই বৈঠকে এটা মূল ফোকাস ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন নিয়ে আলোচনা হয়। যে বিষয়গুলো বেশি আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের কাজ আরো কীভাবে গতিশীল করা যায় এবং মিশনগুলোর ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব সেগুলো আরো ভালোভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ফল নিয়ে আসা যায়, এই বিষয়ে আলোচনা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামীতে আমরা চাচ্ছি যে, একটা টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে, অর্থাৎ মন্ত্রণালয়ে একটি ভালো টিম থাকবে, যারা একইভাবে মিশনগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্টভাবে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপন করবে। যাতে সকলকে আস্থায় এনে মন্ত্রণালয় এবং মিশনগুলো টিম ওয়ার্ক করতে পারে। সবাই আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজ করছি, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটাকে কীভাবে সারাবিশ্বে অগ্রযাত্রার চিত্র হিসেবে তুলে ধরতে পারি, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
-কেএম