অনলাইনঃ
দাবি পূরণের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন নৌযান শ্রমিকেরা। গতকাল ৩০ নভেম্বর, শনিবার রাতে শ্রম অধিদপ্তরে বৈঠনের পর শ্রমিক প্রতিনিধিরা এ কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার।
এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে শ্রম অধিদফতরে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে চলমান নৌ ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন শ্রমিক প্রতিনিধিরা।’
সভায় শ্রমিকদের খোরাকি ভাতার মূল দাবিটি আগামী মার্চের মধ্যে মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন মালিকরা। তাদের এ আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহারে রাজি হন শ্রমিক নেতারা। অন্যান্য দাবিগুলোর বিষয়ে গত বুধবারের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একে এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, মালিক প্রতিনিধিসহ অন্যান্য শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদাবাজি বন্ধ, বর্ধিত বেতন, খাদ্যভাতা দেয়াসহ ১১ দফা দাবিতে শুক্রবার মধ্যরাত (১২টার পর) থেকে সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দেয় বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। বাংলাদেশ জাহাজ শ্রমিক ফেডারেশনের ১৪ দফা ও নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
দাবিগুলোর মধ্যে আছে –
• বাল্কহেডসহ সব নৌ-যানে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ। ২০১৬ সালের ঘোষিত গেজেট মোতাবেক কেরাণী, কেবিনবয় ও ইলেকট্রিশিয়ানসহ সব নৌ-শ্রমিককে বেতন প্রদান।
• ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান ও হয়রানি বন্ধ। সব নৌ-শ্রমিককে মালিক কর্তৃক খাদ্যভাতা প্রদান। এনড্রোস, ইনচার্জ, টেকনিক্যাল ভাতা পুনর্নির্ধারণ। কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ।
• নৌ-শ্রমিককে মালিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক দিতে হবে। নৌ-শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নদীর নাব্যতা রক্ষা ও প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন। মাস্টার/ড্রাইভার পরীক্ষা, সনদ বিরতণ, সনদ নবায়ন, পরিদর্শনসহ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সব প্রকার অনিয়ম ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা বন্দরে আউটারে চলাচলকারী শ্রমিকদের সি-এলাউন্স দিতে হবে।
ডিকে